বিচার বিভাগের ভুল সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য
'বিচার বিভাগের ভুল' সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য
“বিচারবিভাগের কখনও ভুল স্বীকারে এবং তা সংশোধনে আপত্তি থাকা উচিত নয় এবং ভুল মেনে সংশোধনের দরজা খুলে রাখার স্পিরিটটাই ভারতীয় বিচারব্যবস্থার অন্যতম শক্তি।... এই ‘ওপেননেস’ই বিচারব্যবস্থাকে উত্তরোত্তর আরও সুসংহত, স্বচ্ছ, ন্যায়সঙ্গত হয়ে ওঠার শক্তি যোগায়।”
— ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট
বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং অরবিন্দ কুমার
২৩/০৯/২০২৪
উৎস ও প্রসঙ্গ :
‘এই সময়’ দৈনিক সংবাদপত্র।
২৬/০৯/২০২৪
বিচারপতিরও ভুল হয়: শীর্ষ আদালত
মানুষ মাত্রই ভুল করে। বিচারপতিদেরও কখনও কখনও ভুল হয়। এ কথাটাই আরও এক বার মনে করাল সুপ্রিম কোর্ট।
নিজেদের পূর্ববর্তী রায় সংশোধন করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানাল,
“বিচারবিভাগের কখনও ভুল স্বীকারে এবং তা সংশোধনে আপত্তি থাকা উচিত নয় এবং ভুল মেনে সংশোধনের দরজা খুলে রাখার স্পিরিটটাই ভারতীয় বিচারব্যবস্থার অন্যতম শক্তি।”
ঠিক যে ভাবে আপিল পর্যায়ে দায়রা কোর্টের রায় সংশোধিত হতে পারে হাইকোর্টে বা হাইকোর্টের রায় অনেক সময়ে সংশোধিত বা পরিবর্তিত হয় সুপ্রিম কোর্টে সুপ্রিম কোর্টের রায়ও সংশোধনযোগ্য হলে সংশোধন করে নেওয়াটাই কর্তব্য।
“এই 'ওপেননেস'ই বিচারব্যবস্থাকে উত্তরোত্তর আরও সুসংহত, স্বচ্ছ, ন্যায়সঙ্গত হয়ে ওঠার শক্তি জোগায়। এই কারণেই রয়েছে রিভিউ পিটিশন দাখিলের ব্যবস্থাও।”
গত বছর ৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারী এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ ঋণের টাকা উদ্ধার সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপের একটি মামলায় ‘ইন্ডিয়াবুলস হাউজিং ফিনান্স’ এবং তাদের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ইডি-কে পদক্ষেপ করা থেকে বিরত করেছিল। সেই নির্দেশ দিতে গিয়ে ইডি-র বক্তব্য না-শোনা ছিল ওই বেঞ্চের অন্যতম ভুল। আরও একটি ভুল হয়েছিল এই বেঞ্চের। তা হল, বিবদমান দু'পক্ষকে হাইকোর্টে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, সেখানে মামলার নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত ইডি-কে কোনও পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে।
অথচ এ দেশের আইনি কাঠামোয় সুপ্রিম কোর্টের মতোই হাইকোর্টও সাংবিধানিক আদালত এবং স্বাধীন। সেখানে মামলা শোনার জন্যে পাঠাতেই পারে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু হাইকোর্টে মামলা যাওয়ার পরে অন্তর্বর্তী কোনও নির্দেশ দেওয়ার অধিকার হাইকোর্টের। কোন পদক্ষেপ করা যাবে বা যাবে না, সুপ্রিম কোর্ট এই গণ্ডি কাটতে পারে না।
ইডি-র তরফে ওই নির্দেশের সংশোধন চেয়ে আবেদন করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। শুনানির পর দু'রকম ভুলই মুক্তমনে স্বীকার করে বুধবার বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, বিচারপতিদেরও ভুল হতে পারে। তা সংশোধন করাই কর্তব্য। ইডি-র পদক্ষেপ না-করার বিষয়টি হাইকোর্টে মামলা নথিভুক্ত হওয়া পর্যন্ত বজায় থাকবে। তার পর হাইকোর্টই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে।
-------xx-------
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন