ফ্যাসিজম সম্পর্কে সেবাস্তিয়ান লেলিয়োর উক্তি
ফ্যাসিজম সম্পর্কে সেবাস্তিয়ান লেলিয়োর উক্তি
ফ্যাসিজম সম্পর্কে সেবাস্তিয়ান লেলিয়োর উক্তি |
“হয় আমরা একসাথে বাঁচতে এবং জীবনের জটিলতাকে মেনে নিতে শিখবো, অথবা আমরা আবার ফ্যাসিবাদের কবলে পড়ব, এবং নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনবো।”
— সেবাস্তিয়ান লেলিও
উৎস ও প্রসঙ্গ জানুন
সেবাস্টিয়ান লেলিও একজন চিলিয়ান চিত্র পরিচালক। ২০১৭ সালে বিদেশী ভাষা বিভাগে চিলির প্রতিনিধি হিসেবে তিনি অস্কার চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেয়ার সুযোগ পান। তাঁর ‘এ ফ্যান্টাস্টিক ওমেন’ নামের চলচ্চিত্রটি অস্কার ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মনোনয়ন পায়। আর এই সূত্রেই তার এই উৎসবে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ হয়।
শুধু তাই নয়, এই বছরই বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর ছবিটি সেরা চিত্রনাট্য বিভাগে ‘রুপোর ভল্লুক’ পুরস্কার পায়। চলচ্চিত্রটি ছিল একজন হিজড়ের (মেরিনা) জীবন সংগ্রামের ওপর নির্মিত, যেখানে সে একজন হোটেলের ওয়েট্রেস (খাবার পরিবেশনকারী) এবং গায়িকা হিসেবে কাজ করে।
এরপর সে অরল্যান্ডো (ফ্রান্সিসকো রেয়েস) এর সাথে চলে যায়, যিনি একজন বয়স্ক ব্যক্তি। একদিন হঠাৎ অরল্যান্ডো অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মারা যান। এই ঘটনার ফলে, মেরিনা অরল্যান্ডোর পরিবার এবং সমাজের সন্দেহ এবং অবজ্ঞার মুখোমুখি হয়। এই পরিস্থিতিতে সে এটা দেখাতে লড়াই শুরু করতে বাধ্য হয় যে, সে প্রকৃতই একজন জটিল, শক্তিশালী, স্পষ্টবাদী, চমৎকার মানুষ।
এর আগে ২০০৫ সালে তার সিক্রেট ফ্যামিলি নির্মাণ করে চলচ্চিত্র জগতে তিনি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ২০১৩ সালের নির্মাণ করেন ‘গ্লোরিয়া’, যেখানে অভিনয়ের জন্য বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছিলেন পাওলিনা গার্সিয়া।
২০১৭ সালে সেবাস্তিয়ান লেলিও লস এঞ্জেলেসে আসেন ‘গ্লোরিয়া’ সিনেমাকে ইংরেজি ভাষায় পুনর্নির্মাণের জন্য। এই সময় শুটিংয়ের ফাঁকে (ছুটির দিনে) ডেডলাইন পত্রিকার চিত্র সাংবাদিক ন্যান্সি টার্টাগ্লিওন এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। এই সাক্ষাৎকারের এক পর্বে সাংবাদিক মন্তব্য করেন, “আপনি (এ ফ্যান্টাস্টিক ওম্যান চলচ্চিত্রে) হিজড়া সম্প্রদায় সম্পর্কে যুগের যে ভাবধারা বা মানসিকতা (zeitgeist) তাতেও আঘাত করতে চেয়েছেন”। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই সেবাস্তিয়ান লেলিও ব্যাখ্যা করেন তাঁর অবস্থান :
“আমি যখন চিত্রগ্রহণ করছিলাম তখন বিষয়টি বিস্ফোরিত হয়েছিল। টাইম এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কভার ছিল; পপ সংস্কৃতিতে ট্রান্সজেন্ডার মানুষ। আমার অবাক করার মতো শুটিংয়ের সময় এটি কমবেশি ঘটেছিল। তবে আমি অনুভব করেছি যে একটি নির্দিষ্ট উপায়ে মানুষের সমস্যা সম্পর্কে এই ধারণাটি অন্যদের তুলনায় কম-বেশি 'বৈধ' - কে সংজ্ঞায়িত করে প্রেম কী এবং কে এই লাইনটি আঁকতে পারে যে এটি বৈধ নয় এবং এটি বৈধ? — সেই সমস্যাটি খুবই সমসাময়িক কারণ আমরা সহানুভূতির সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সহানুভূতির সীমা চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে। আপনি এটা দেখতে পারেন অভিবাসনে, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সংকটে। আমরা আমাদের গ্রহ থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছি. আমাদের পরিবার, জাতি, জাতি, লিঙ্গের প্রতি আমাদের আনুগত্যের সীমা কী?
এমন অনেক কিছু আছে যা আমরা একটি প্রজাতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। হয় আমরা একসাথে থাকতে শিখব এবং জীবনের জটিলতাকে আলিঙ্গন করব, অথবা আমরা আবার ফ্যাসিবাদের সাথে শেষ হয়ে যাব এবং নিজেদের ধ্বংস করব।”
--------xx-------
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন