বিবাহ সম্পর্কে বিচারপতি বিনোদ দিবাকরের উক্তি
বিবাহ সম্পর্কে বিচারপতি বিনোদ দিবাকরের উক্তি :
“বিয়ে করা মানেই স্ত্রীর উপর মালিকানা জন্মানো নয়। স্বামীর মনে রাখা উচিত অন্যের থেকে সম্মান পেতে হলে তাকেও সেটা ফেরাতে হবে।”
— বিচারপতি বিনোদ দিবাকর
উক্তিটি ইংরেজিতে পড়ুন
উক্তিটির উৎস ও প্রসঙ্গ জানুন :
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক সম্পর্কে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি বিনোদ দিবাকর এই মন্তব্যটি করেছেন।
২০২২ সালে স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের একজন ব্যক্তি। বিষয়টি জানাজানি হতে স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বামী তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা খারিজের আবেদন করেছিলেন এলাহাবাদ হাইকোর্টে। সেই মামলার দীর্ঘ শুনানির পর এলাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি বিনোদ দিবাকর বলেন, বিয়ে করা মানেই স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তি নন। স্ত্রী আলাদা ব্যক্তি, পৃথক ব্যক্তিত্ব। তাঁর আলাদা চিন্তাভাবনা, স্বাধীনতা, ইচ্ছা-অনিচ্ছা আছে। এবং এক্ষেত্রে অভিযুক্ত স্বামী বিয়ের গোপনীয়তা এবং তাঁর প্রতি স্ত্রীর আস্থা বিশ্বাস ভরসা ভেঙ্গেছেন। তাই এই আবেদন খারিজের প্রশ্নই ওঠে না।
এ বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ হল, স্ত্রীর ভিডিওটি অপরাধী মন থেকেই প্রকাশ করেছিলেন স্বামী। এ কাজের ফল কি হতে পারে? সে ধারণাও ছিল তার। তা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে এ কাজ করা হয়েছে বলে মনে করছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি দিবাকরের পর্যবেক্ষণ হল — বিয়ে করা মানেই স্ত্রীর উপরে স্বামীর মালিকানা জন্মানো নয়। স্বামীর মনে রাখা উচিত যে অন্যের থেকে সম্মান, শ্রদ্ধা পেতে হলে তাকেও সেটা ফেরাতে হবে। স্ত্রী স্বামীর ‘বর্ধিত সত্তা’ নন, তিনি পৃথক ব্যক্তিত্ব।
এ প্রসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি আইন বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায় 2017 সালের একটি মামলার উল্লেখ করে বলেন, ‘সেখানে দেখা গিয়েছিল স্ত্রীকে কিছু না জানিয়েই তার মোবাইলটি হ্যাক করেছেন স্বামী। সেবারও আদালত জানিয়ে দেয় যে, স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া এ কাজ করা যায় না। এটা রাইট টু প্রিভেসির বিরোধী।’
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন