জীবন মৃত্যু সম্পর্কে মহাত্মা গান্ধীর উক্তি
জীবন মৃত্যু সম্পর্কে মহাত্মা গান্ধীর উক্তি :
“এমনভাবে বাঁচো, যেন তুমি আগামীকালই মারা যাবে। আর এমন ভাবে শেখো, যেন তুমি চিরদিন বেঁচে থাকবে।”
— মহাত্মা গান্ধী
উক্তিটি ইংরেজিতে পড়ুন
উক্তিটির উৎস ও প্রসঙ্গ জানুন :
“এমনভাবে বাঁচো, যেন তুমি আগামীকাল মারা যাবে। এমনভাবে শেখো, যেন তুমি চিরকাল বেঁচে থাকবে” — মহাত্মা গান্ধীর নামে উল্লেখিত এটি একটি অবিস্মরণীয় উক্তি যা ব্যাপকভাবে প্রচারিত।কিন্তু এখনোও পর্যন্ত এই উক্তিটির সঠিক উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অর্থাৎ এই উক্তিটি তাঁর নির্দিষ্ট কোন্ লেখা বা বক্তৃতার সাথে সরাসরি সম্পর্কিত, তা জানা যায়নি। কারণ, এমন কোনও নথিভুক্ত উৎস এখনো পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে নেই।
একজন বিশিষ্ট লেখক, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা এবং অহিংসার পূজারী হিসাবে মহাত্মা গান্ধী, তাঁর সহজ-সরল জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে বর্তমান সময়কে উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছেন এবং তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সারা জীবন ধরে জ্ঞান অর্জনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এবং এ বিষয়ে তাঁর সারা জীবনের উপলব্ধি বিভিন্ন লেখা ও বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। তাঁর এই বিশেষ বাক্যাংশটি কোনও নির্দিষ্ট পাঠ্য থেকে মৌখিক উদ্ধৃতি হিসাবে চিহ্নিত না হয়ে, তাঁর এই জীবন ও শিক্ষা দর্শনের একটি জনপ্রিয় সংক্ষেপ বা ব্যাখ্যা হিসাবে প্রচারিত হয়েছে বলে মনে হয়।
মহাত্মা গান্ধীর নাতি রাজমোহন গান্ধী তাঁর দাদার মতামত বিভিন্ন জায়গায় এমনভাবে আলোচনা করেছেন, যা এই উক্তির অনুভূতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে হয়।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, আধুনিক গবেষণা এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, মহাত্মা গান্ধীর জন্মের পূর্ববর্তী সময়ের বিভিন্ন উৎসগুলিতেও প্রায় একই রকম অনুভূতির উল্লেখ পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ: সেভিলের ইসিডোর থেকে এই একই রকম উক্তি পাওয়া যেতে পারে। ইসলাম ধর্মের শাস্ত্র গ্রন্থ ‘হাদিস’ থেকেও একই রকম ধারণা পাওয়া যায়।
সুতরাং বোঝা যাচ্ছে যে, এই উক্তিতে প্রকাশিত ধারণাটি সময়ের সাথে সাথে প্রবাহমান ছিল এবং মহাত্মা গান্ধী এর একটি খুবই সুন্দর সংস্করণ তৈরি করেছিলেন, যা আজ মানুষের মুখে মুখে ফিরছে।
অর্থাৎ মহাত্মা গান্ধী এই অনুভূতিকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন এবং এটি তাঁর শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মনে রাখা দরকার, এর মূল ধারণাটির শিকড় প্রাচীন দার্শনিক ও ধর্মীয় চিন্তাধারায় মধ্যে নিহিত আছে।
মহাত্মা গান্ধী তাঁর আত্মজীবনী ‘দ্য স্টোরি অফ মাই এক্সপেরিমেন্টস উইথ ট্রুথ’, ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’ এবং ‘হরিজন’ এর মতো গ্রন্থ ও পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন নিবন্ধে, জীবনের উদ্দেশ্য এবং তার সঙ্গে জ্ঞান অন্বেষণের গভীর সম্পর্কের উপর জোর দিয়েছেন। ‘এমনভাবে বাঁচো যেন তুমি আগামীকাল মারা যাবে’, —এই অংশের সঙ্গে ভালো কাজের নিরবিচ্ছিন্ন এবং দ্রুত সম্পান্ন করার তাগিদ লক্ষ্য করা যায়, যা তাঁরজীবন দর্শন ও শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অন্যদিকে দ্বিতীয় অংশ, “এমনভাবে শেখো, যেন তুমি চিরকাল বেঁচে থাকবে”, ক্রমাগত আত্ম-উন্নতি এবং সত্য-অনুসন্ধানে তাঁর বিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে। গবেষক এবং উদ্ধৃতি উৎসাহীরা মনে করেন যে, এটি পরবর্তীকালে তাঁর অনুসারীদের দ্বারা তৈরি করা হতে পারে, যাতে তাঁর ধারণাগুলিকে একটি সংক্ষিপ্ত, স্মরণীয় আকারে উপস্থাপিত করা যায়।
সুতরাং আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো, এটি কোনও সুনির্দিষ্ট প্রাথমিক উৎস ছাড়াই, সম্ভবত সরাসরি উদ্ধৃতি না বলে বরং গান্ধীর বৃহত্তর দর্শন দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি উক্তি হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, আধুনিক গবেষণা এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, মহাত্মা গান্ধীর জন্মের পূর্ববর্তী সময়ের বিভিন্ন উৎসগুলিতেও প্রায় একই রকম অনুভূতির উল্লেখ পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ: সেভিলের ইসিডোর থেকে এই একই রকম উক্তি পাওয়া যেতে পারে। ইসলাম ধর্মের শাস্ত্র গ্রন্থ ‘হাদিস’ থেকেও একই রকম ধারণা পাওয়া যায়।
সুতরাং বোঝা যাচ্ছে যে, এই উক্তিতে প্রকাশিত ধারণাটি সময়ের সাথে সাথে প্রবাহমান ছিল এবং মহাত্মা গান্ধী এর একটি খুবই সুন্দর সংস্করণ তৈরি করেছিলেন, যা আজ মানুষের মুখে মুখে ফিরছে।
অর্থাৎ মহাত্মা গান্ধী এই অনুভূতিকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন এবং এটি তাঁর শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মনে রাখা দরকার, এর মূল ধারণাটির শিকড় প্রাচীন দার্শনিক ও ধর্মীয় চিন্তাধারায় মধ্যে নিহিত আছে।
মহাত্মা গান্ধী তাঁর আত্মজীবনী ‘দ্য স্টোরি অফ মাই এক্সপেরিমেন্টস উইথ ট্রুথ’, ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’ এবং ‘হরিজন’ এর মতো গ্রন্থ ও পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন নিবন্ধে, জীবনের উদ্দেশ্য এবং তার সঙ্গে জ্ঞান অন্বেষণের গভীর সম্পর্কের উপর জোর দিয়েছেন। ‘এমনভাবে বাঁচো যেন তুমি আগামীকাল মারা যাবে’, —এই অংশের সঙ্গে ভালো কাজের নিরবিচ্ছিন্ন এবং দ্রুত সম্পান্ন করার তাগিদ লক্ষ্য করা যায়, যা তাঁরজীবন দর্শন ও শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অন্যদিকে দ্বিতীয় অংশ, “এমনভাবে শেখো, যেন তুমি চিরকাল বেঁচে থাকবে”, ক্রমাগত আত্ম-উন্নতি এবং সত্য-অনুসন্ধানে তাঁর বিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে। গবেষক এবং উদ্ধৃতি উৎসাহীরা মনে করেন যে, এটি পরবর্তীকালে তাঁর অনুসারীদের দ্বারা তৈরি করা হতে পারে, যাতে তাঁর ধারণাগুলিকে একটি সংক্ষিপ্ত, স্মরণীয় আকারে উপস্থাপিত করা যায়।
সুতরাং আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো, এটি কোনও সুনির্দিষ্ট প্রাথমিক উৎস ছাড়াই, সম্ভবত সরাসরি উদ্ধৃতি না বলে বরং গান্ধীর বৃহত্তর দর্শন দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি উক্তি হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
আপনার কাছে যদি এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য থাকে অনুগ্রহ করে গ্রন্থের নাম এবং পৃষ্ঠা উল্লেখ করেমন্তব্যের ঘরে মতামত হিসাবে লিপিবদ্ধ করে যাবেন। পরবর্তী সময়ে, আমরা তা যাচাই করে দেখব এবং আপনার ঋণ স্বীকার করবো এই অংশে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন