বাঁশির সুর সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মন্তব্য
বাঁশির সুর সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মন্তব্য :
![]() |
বাঁশির সুর সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মন্তব্য |
“বাঁশির ভিতরকার ফাঁকটি শুরু বলেই, চারদিকে তার বাধা বলেই, এমন সুর।”
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উক্তিটি ইংরেজিতে পড়ুন
উক্তিটির উৎস ও প্রসঙ্গ জানুন :
Rabindranath Tagore's comments on the melody of the flute,
“ভারতবর্ষ যদি সত্যকার জিনিস হয় তা হলে ওর মধ্যে মুসলমান আছে।”
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘরে বাইরে উপন্যাসের নিখিলেশের সংলাপ। সংলাপটি উদ্ধৃত হয়েছে সন্দীপ নামক চরিত্রের বয়ানে।
“মুসলমানদের বাদ দিয়ে ভারতবর্ষ কল্পনা করা যায় না।”
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘরে বাইরে উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি সত্যজিৎ রায় পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘ঘরে বাইরে’ এর নায়ক নিখিলেশের সংলাপ।
-----------
নিখিলকে এ-সব কথা বোঝানো ভারি শক্ত। সত্য জিনিসটা ওর মনে একটা নিছক প্রেজুডিসের মতো দাঁড়িয়ে গেছে। যেন সত্য বলে কোনো-একটা বিশেষ পদার্থ আছে। আমি ওকে কতবার বলেছি, যেখানে মিথ্যাটা সত্য সেখানে মিথ্যাই সত্য। আমাদের দেশ এই কথাটা বুঝত বলেই অসংকোচে বলতে পেরেছে, অজ্ঞানীর পক্ষে মিথ্যাই সত্য। সেই মিথ্যা থেকে ভ্রষ্ট হলেই সত্য থেকে সে ভ্রষ্ট হবে। দেশের প্রতিমাকে যে লোক সত্য বলে মানতে পারে দেশের প্রতিমা তার মধ্যে সত্যের মতোই কাজ করবে। আমাদের যে-রকমের স্বভাব কিম্বা সংস্কার তাতে আমরা দেশকে সহজে মানতে পারি নে, কিন্তু দেশের প্রতিমাকে অনায়াসে মানতে পারি। এটা যখন জানা কথা, তখন যারা কাজ উদ্ধার করতে চায় তারা এইটে বুঝেই কাজ করবে।
-------
“তাই শত শত বৎসর ধরে দেশের যখন সকল কাজই বাকি তখন তোমরা দেশকে দেবতা বানিয়ে বর পাবার জন্যে হাত পেতে বসে রয়েছ।”
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘরে বাইরে উপন্যাস, সন্দীপকে এ কথাগুলো বলছেন নিখিলেশ।
---------
ভয়ের শাসনের সীমা কোন্ পর্যন্ত সেইটের দ্বারাই দেশের মানুষ কতটা স্বাধীন জানা যায়। ভয়ের শাসন যদি চুরিডাকাতি এবং পরের প্রতি অন্যায়ের উপরেই টানা যায় তা হলে বোঝা যায় যে প্রত্যেক মানুষকে অন্য মানুষের আক্রমণ থেকে স্বাধীন করবার জন্যেই এই শাসন। কিন্তু মানুষ নিজে কী কাপড় পরবে, কোন্ দোকান থেকে কিনবে, কী খাবে, কার সঙ্গে বসে খাবে, এও যদি ভয়ের শাসনে বাঁধা হয় তা হলে মানুষের ইচ্ছাকে একেবারে গোড়া ঘেঁষে অস্বীকার করা হয়। সেটাই হল মানুষকে মনুষ্যত্ব থেকে বঞ্চিত করা।
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘরে বাইরে উপন্যাসে, নিখিলেশের মুখ দিয়ে কথাগুলি উচ্চারিত হচ্ছে।
----------
“বউ হয়ে যে মার খায় শাশুড়ি হয়ে সে’ই সব চেয়ে বড়ো মার মারে। সমাজে যে মানুষ মাথা হেঁট করে থাকে সে যখন বরযাত্র হয়ে বেরোয় তখন তার উৎপাতে মানী গৃহস্থের মান রক্ষা করা অসাধ্য। ভয়ের শাসনে তোমরা নির্বিচারে কেবলই সকল–তাতেই সকলকে মেনে এসেছ, সেইটেকেই ধর্ম বলতে শিখেছ, সেই জন্যেই আজকে অত্যাচার করে সকলকে মানানোটাকেই তোমরা ধর্ম বলে মনে করছ। আমার লড়াই দুর্বলতার ঐ নিদারুণতার সঙ্গে।”
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘরে বাইরে উপন্যাসের নায়ক নিখিলেশ। সন্দ্বীপের একজন স্কুল ফাইনাল পাস ছাত্রের সঙ্গে কথোপকথনের সময় সন্দ্বীপের ভাবনার ভুল ধরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই মন্তব্য করেছিলেন।
-------------
“আমরা মনে করি, যেটা ইচ্ছে করেছি সেটাকে হাতে করে পাওয়াই স্বাধীনতা; কিন্তু আসলে, যেটা ইচ্ছে করেছি সেটাকে মনের মধ্যে ত্যাগ করাই স্বাধীনতা।”
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘরে বাইরে উপন্যাসের নায়ক নিখিলেশের মাস্টারমশাই নিখিলেশ কে বলছেন।
---------
“সুন্দরকে আমরা দেখতেই পাই নে যতক্ষণ না তাকে আমরা ছেড়ে দিই।”
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘরে বাইরে উপন্যাসের প্রধান চরিত্র নিখিলেশের উক্তি। বলেছেন তার মাস্টারমশাইকে উদ্দেশ্য করে।
-----------
“বুদ্ধই পৃথিবী জয় করেছিলেন, আলেক্জাণ্ডার করেন নি...।”
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘরে বাইরে উপন্যাসের প্রধান চরিত্র নিখিলেশ তার মাস্টার মশাই কে কথা বলেছিলেন। এরপর তিনি বলেন,
“এ কথা যে তখন মিথ্যেকথা যখন এটা শুকনো গলায় বলি। এই কথা কবে গান গেয়ে বলতে পারব? বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের এই-সব প্রাণের কথা ছাপার বইকে ছাপিয়ে পড়বে কবে, একেবারে গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গার নির্ঝরের মতো?”
------------
“আর কল্যাণ নেই। ধর্মকে সরিয়ে দিয়ে দেশকে তার জায়গায় বসিয়েছি, এখন দেশের সমস্ত পাপ উদ্ধত হয়ে ফুটে বেরোবে, তার আর কোনো লজ্জা থাকবে না।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘরে-বাইরে উপন্যাসের মাস্টারমশাই
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন