বৃহৎ শহরের সংজ্ঞা সম্পর্কে অ্যারিস্টটলের উক্তি
বৃহৎ শহরের সংজ্ঞা সম্পর্কে অ্যারিস্টটলের উক্তি :
![]() |
বৃহৎ শহরের সংজ্ঞা সম্পর্কে অ্যারিস্টটলের উক্তি |
“একটি বৃহৎ শহরের (Great City) সংজ্ঞাকে কখনওই একটি জনবহুল (Populous) শহরের সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে চলবে না।”
— অ্যারিস্টোটল
উক্তিটি ইংরেজিতে পড়ুন
উক্তিটির উৎস ও প্রসঙ্গ জানুন :
এরিস্টটল তাঁর ‘পলিটিক্স’ গ্রন্থে বলেছেন, “একটি শহরকে মহান করে তোলে তার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান।” তাঁর মতে, একটি শহরের শ্রেষ্ঠত্ব কেবল তার আয়তনের উপর নির্ভর করে না, বরং এর বাসিন্দাদের সুযোগ-সুবিধা, সংস্কৃতি এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রার মানের উপরও নির্ভরশীল।
গ্রেট সিটির (বৃহৎ শহর) বৈশিষ্ট্য :
একটি শহরের শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারণের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা উচিত:
- জীবনযাত্রার মান: শহরের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান কেমন, তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা।
- শহরের সংস্কৃতি: একটি শহরের সংস্কৃতি তার পরিচয়। সংস্কৃতিতে ঐতিহ্য, শিল্পকলা, এবং জীবনধারা সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত।
- শহরের সুযোগ সুবিধা: একটি শহরে নাগরিকদের জন্য কেমন সুযোগ রয়েছে, তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মধ্যে রয়েছে কর্মসংস্থান, ব্যবসা-বাণিজ্য, এবং বিনোদনের সুযোগ।
- শহরের সৌন্দর্য: একটি শহরের সৌন্দর্য তার পরিবেশ এবং স্থাপত্যের উপর নির্ভর করে। সুন্দর শহর নাগরিকদের মন জয় করে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে।
- শহরের নিরাপত্তা: নাগরিকদের নিরাপত্তা একটি শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। একটি নিরাপদ শহর নাগরিকদের জীবনযাত্রাকে আরও শান্তিপূর্ণ করে তোলে।
এরিস্টটল মনে করতেন যে, একটি শহরের শ্রেষ্ঠত্ব কেবল তার জনসংখ্যার উপর নির্ভর করে না, বরং এর বাসিন্দাদের সামগ্রিক জীবনযাত্রার মানই একটি শহরকে মহান করে তোলে।
অ্যারিস্টটলের উক্তির প্রাসঙ্গিকতা :
উক্তিটি আজও প্রাসঙ্গিক। আধুনিক শহর পরিকল্পনা এবং উন্নয়নে এরিস্টটলের এই ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি শহরকে মহান করে তোলার জন্য, আমাদের কেবল জনসংখ্যার দিকে নজর দিলেই হবে না, বরং নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে।
-----------xx-----------
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন