হিন্দু মুসলমান সম্পর্কে আলী হোসেনের মন্তব্য

হিন্দু ও মুসলমান ধর্ম সম্পর্কে আলী হোসেনের মন্তব্য :

“হিন্দু যেমন কোনো ধর্ম নয়, তেমনি মুসলমান কোন জাতি নয়। হিন্দু যেমন একটা জাতিসত্তার নাম, মুসলমান তেমনি একটি ধর্মীয় সম্প্রদায় ভিন্ন কিছু নয়। তবে এদেশে উভয়ের জাতীয়তা হল ভারতীয় বা ইন্ডিয়ান”

— আলী হোসেন

এই উক্তিটি ইংরেজিতে পড়ুন

এই উক্তিটির উৎস ও প্রসঙ্গ জানুন :

Ali Hossain's comments on Hindus and Muslims
Ali-Hossains-comments-on-Hindus-and-Muslims

হিন্দু যেমন কোনো ধর্ম নয়, তেমনি মুসলমান কোন জাতি নয়। মনে রাখতে হবে, হিন্দু একটা জাতিসত্তার নাম। অন্যদিকে মুসলমান একটি ধর্মীয় সম্প্রদায় ভিন্ন কিছু নয়। এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মিল হল, এদের উভয়েরই জাতীয়তা বা জাতিসত্ত্বা এক। এই জাতীয়তা বা জাতিসত্ত্বার মধ্যযুগীয় নাম ছিল হিন্দু, তার আধুনিক রূপ হল, ভারতীয় বা ইন্ডিয়ান।

ধর্ম হল খানিকটা পোশাকের মত। যে পোশাকে মানুষ সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, সেটাই মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। সেটাই হয়ে ওঠে প্রিয় পোশাক। কোন পোশাক যদি আমাকে কষ্ট দেয়, তবে আমি চেষ্টা করি তাকে বর্জন করার এবং আরামদায়ক পোশাককে আপন করার। তাই পারিবারিক বা সামাজিক কোন বাধা না থাকলে, মানুষ  নতুন কোন পোশাককে হামেশাই গ্রহণ বা পুরনোকে বর্জন করে ফেলে। এ কারণেই, আমরা ইতিহাসের পাতায় ধর্মহীন মানুষকে ধার্মিক হয়ে উঠতে দেখেছি। প্রথমে দেখেছি প্রকৃতিকে ঈশ্বর জ্ঞানে মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে আরাধনা করতে। নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর মতে, "বৈদিককালে কোন মূর্তি বানানো হতো না। দেবতারা ছিলেন মন্ত্রমূর্তি। মন্ত্রদিয়েই  তাদের অবয়ব কল্পনা করা হত।" এরপর দেখেছি প্রকৃতির বিভিন্ন শক্তিকে নির্দিষ্ট অবয়ব দিয়ে প্রার্থনা করার প্রচলন হতে। এই পর্বে জন্ম নিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির জন্য ভিন্ন ভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি। এরপর এদেরকে কেন্দ্র করে ভিন্ন ভিন্ন ধর্মীয় মতাদর্শ এলো। ফলে ধর্মকে কেন্দ্র করে মনুষ্য জাতি বিভক্ত হতে শুরু করল। বাঁধলো পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসের দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্বের হাত থেকে মুক্তি পেতে জন্ম নিল একেশ্বরবাদ। ইউরোপের বহুত্ববাদী মানুষ পেগান ধর্ম ত্যাগ করে গ্রহণ করল একেশ্বরবাদী খ্রিষ্টান ধর্ম। এই পথেই একদিন এলো ইসলাম। এভাবেই বিশ্বজুড়ে মানুষ সময় ও চিন্তার পরিবর্তনের সূত্র ধরে এক ধর্মের জামা খুলে, নতুন কোন জামা পরেছে। 

ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। এক ব্রহ্মা তেত্রিশ কোটি দেবতায় (অবতারে) বিভাজিত হয়েছে। এরপর একেশ্বরবাদের প্রচার ও প্রসার ঠেকাতে জন্ম নিয়েছে সমন্বয়বাদী ধর্ম। আমরা চৈতন্য থেকে রামকৃষ্ণ, কবির থেকে নানককে পেয়েছি এই পর্বে। এক সময়ের ধর্মহীন চার্বাক, কিম্বা পরবর্তীকালে অবিশ্বাসী বৌদ্ধ ও জৈন মানস, ক্ৰমান্বয়ে প্রকৃতি পূজারী (যদিও সমগ্র বেদে মাত্র একবার 'পূজা' শব্দটি উচ্চারিত হয়েছে -  নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুরি) থেকে ভক্তি ও সুফীবাদে আশ্রয় নিয়েছে। এই পাল্টে যাওয়াটা মানুষের খুব স্বাভাবিক প্রবণতা। চিন্তা চেতনার বিকাশের সঙ্গে এর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণেই প্রথম জীবনের গভীর ধর্মবিশ্বাসী মানুষ শেষ জীবনে নাস্তিক হয়েছেন, ধর্মকে পাত্তা না দেওয়া মানুষ হয়ে গেছেন ধার্মিক - এ দৃষ্টান্ত আমার আপনার চারপাশেই রয়েছে।

একটু খেয়াল করলেই জানতে পারি, একটু বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করলেই বুঝতে পারি, এভাবে মানুষের ধর্মবোধ সহজে পাল্টে গেলেও তার মধ্যে যে নৃতাত্ত্বিক গঠন থাকে, তা কখনোই পাল্টায় না। কারণ এই নৃতাত্ত্বিক গঠন নির্ভর করে মানবজাতির ডিএনএ-এর গঠনের উপর, যা কখনই আমূল পাল্টে ফেলা যায় না। এবং তাকে কেন্দ্র করে যে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল গড়ে ওঠে, কোন নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকায়, তাও সহজে পাল্টায় না। ইউরোপের তথাকথিত উন্নত এবং সভ্য জাতি বলে দাবি করা মানুষ (উপনিবেশিকরা) তাই পৃথিবীর 'নতুন দেশ' নামে পরিচিত উপনিবেশগুলির আদিম জনজাতিকে একারণেই পাল্টাতে পারেনি। যন্ত্র সভ্যতার অসীম শক্তি ব্যবহার করে তাই তাদেরকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে চিরতরে মুছে গেছে ইনকা ও মায়া সভ্যতা নামে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দুটো প্রাচীন সভ্যতা। একইভাবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সহ অধিকাংশ উপনিবেশ থেকে আদিবাসীদের তারা নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। 

এখন প্রশ্ন হল, হিন্দু কোন ধর্ম নয় কেন? প্রথমত, হিন্দু যদি ধর্ম হত, তবে এই ধর্মের যে সকল প্রাচীন গ্রন্থ (ধর্মগ্রন্থ) আছে তাতে 'হিন্দু' শব্দের অস্তিত্ব থাকত। থাকতো তার উৎপত্তি ও বেড়ে ওঠার ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা। বেদ থেকে পুরান ---কোন গ্রন্থেই হিন্দু শব্দের উপস্থিতি নেই, নেই কোন ব্যাখ্যাও। দ্বিতীয়ত, এই শব্দটি বিদেশী শব্দ। শুধু তাই নয়, এর ব্যবহার প্রথম যারা করেছেন, তারাও বিদেশি। ভারতীয় উপমহাদেশের জনজাতিকে তারা হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তাদের বিভিন্ন গ্রন্থে। 

অন্যদিকে, মুসলমান একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়, যাদের ধর্ম হল ইসলাম। ইসলাম ধর্মের প্রামান্য গ্রন্থ (ধর্মগ্রন্থ) কোরআন শরীফে স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, যারা এই ধর্মে বিশ্বাস করেন, তারা সবাই মুসলমান। সুতরাং মুসলমান একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়। জাতি নয়। তারা যে অঞ্চলে বসবাস করেন, সেই অঞ্চলের জাতিসত্তাই তাদের জাতীয়তা। তাই স্বাধীনতা উত্তর হিন্দুস্থানে বসবাসকারী সমগ্র মুসলমান নিজেদের হিন্দুস্তানি নামে চিহ্নিত করেছে। স্বাধীনতাপূর্ব ভারতীয় সাহিত্যে তার ভুরি ভুরি নজির রয়েছে। আজ স্বাধীন হিন্দুস্থানের নাম হয়েছে ভারত বা ইন্ডিয়া। ভারতে বসবাসকারী মুসলমান তাই আজ ভারতীয়। প্যালেস্টাইনের বসবাসকারীরা মুসলমান যেমন প্যালেস্টানিয়, একই রকমভাবে পাকিস্তানের মুসলমান পাকিস্তানি, বাংলাদেশর বাংলাদেশী।

এবারে আসুন, কেন 'মুসলমান' শব্দটি জাতিগত চরিত্রের চিহ্ন নয়? তার কারণ হল, জাতি বা জাতিসত্তার সঙ্গে দুটি বিষয় অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এর মধ্যে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল, ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য। এবং দ্বিতীয়টি হল, নৃতাত্ত্বিক গঠনগত বৈশিষ্ট্য, আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, যা কখনোই পাল্টানো যায় না।

সংস্কৃতির সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার মানুষের বিশ্বাস এবং জীবনচর্চার ধরণধারণের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক ছিন্ন করা খুবই কঠিন কাজ। আর এ কারণেই অঞ্চল ভেদে একই ধর্মের মানুষের বিশ্বাস ও জীবন চর্চা ভিন্ন ভিন্ন ধরন লক্ষ্য করা যায়। সমগ্র পৃথিবী জুড়ে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী মানুষদের মধ্যে তাই সাংস্কৃতিক বৈচিত্র বিদ্যমান। এবং এ কারণেই প্যান ইসলামইজমের ধারণাটি দীর্ঘদিন ধরে প্রচারে থাকলেও তা বাস্তব রূপ পায়নি। ১৯২৮ সালে মিশরের হাসান আল বান্নার তৈরি 'মুসলিম ব্রাদারহুড'-এর ধারণাও এগোয়নি। মধ্যপ্রাচ্যের দিকে তাকালে, গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে, বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে ওঠে। স্বর্ণযুগের ইসলামিক (আরবীয় অথবা তুর্কি) সাম্রাজ্য ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। এই টুকরো হয়ে যাবার পিছনে অন্যতম প্রধান কারণ হল, জাতিসত্ত্বা সম্পর্কে চেতনার জন্ম ও তার বিকাশ। মুখে আরবীয় জাতিসত্তা ও মুসলিম ব্রাদারহুড-এর কথা বললেও তা কার্যত অর্থহীন হয়ে পড়েছে আঞ্চলিক জাতিসত্তার কাছে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত গোষ্ঠীগুলো নিজেদের আরবীয় বলার চেয়ে প্যালেস্তানিয় বলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। অন্যদিকে সেখানে ইসরাইল কর্তৃক হাজার হাজার মানুষের নৃশংস হত্যা হওয়া, এবং সমগ্র মুসলিম বিশ্বের প্রায় সকলের চোখ বুজিয়ে থাকার ঘটনাও আঞ্চলিক জাতিসত্তাকে প্রাধান্য দেওয়ার দিকেই মনোযোগ নিবদ্ধ করে।

ইউরোপীয় নবজাগরণ ও তৎপরবর্তী ফরাসি বিপ্লব প্রসূত জাতীয়তাবাদী ধ্যান-ধারণা এই বিশেষ জাতিসত্তার বোধ গড়ে তুলেছে। এই জাতিসত্তার জন্ম এবং বিকাশের কারণেই ইউরোপীয় সাম্রাজ্যগুলো ভেঙে ছোট ছোট জাতি রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। আজকের ইউরোপের দিকে তাকালেই এই জাতিরাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও তাদের ভিন্ন ভিন্ন গঠন চোখে পড়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকা তার পররাষ্ট্র নীতিতে ট্রূম্যান নীতির প্রয়োগ জাতিভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনকে উৎসাহিত করে এবং মার্শাল প্লানের (আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে দেশের পুনর্গঠনে সাহায্য করা) মাধ্যমে তাকে টিকিয়ে রাখার নীতি গ্রহণ করে। ফলে বহুজাতিক ও শক্তিশালী রাষ্ট্র গঠনের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে, ন্যাটো চুক্তির মাধ্যমে এই সমস্ত ছোট ছোট রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিধানের ব্যবস্থা করে আমেরিকা তাদেরকে নিজের নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলে।

এখন প্রশ্ন হতে পারে, ইউরোপ বা মধ্যপ্রাচ্যে জাতিসত্তার যে ধরন, তা কি ভারতীয় জাতিসত্তার ধরনের সঙ্গে মেলে? উত্তর হল, না মেলে না। যদি এক হতো, তবে সমগ্র ভারত মধ্যপ্রাচ্যের মতো বহু ছোট ছোট দুর্বল জাতিরাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে যেত। ‘নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান / বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান’ — কবিগুরুর এই স্বপ্নের ভারত বাস্তবে মাথা তুলতে পারত না। ১৯৪৭ সালের ভারতের স্বাধীনতা আইনের বিধানগুলিতে ভারতকে মধ্যপ্রাচ্যের মতো দুর্বল জাতি রাষ্ট্রে বিভক্ত করে ফেলার যাবতীয় ব্যবস্থাই রাখা হয়েছিল। ভারত ও পাকিস্তান ভাগ করার সাথে সাথে এই আইনের মধ্যে দেশীয় রাজ্যগুলির জন্য ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ দেওয়ার বিকল্প হিসেবে স্বাধীন থাকার অপশনও খুলে রাখা হয়েছিল। 

সুতরাং ভারতীয় জাতিসত্তার চরিত্র ইউরোপীয় জাতিসত্তার চরিত্রের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। এই জাতিসত্তার ধাত্রীভূমি ইউরোপ নয়, আমেরিকা ও রাশিয়া। আধুনিক রাষ্ট্রনীতিতে যা বহুজাতিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নামে পরিচিত। এটাই আধুনিক পৃথিবীতে শক্তিশালী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার সবচেয়ে উপযুক্ত পথ। স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের সরকার যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এই বহুজাতিক জাতিসত্তার ধারণাকে শক্তিশালী করে। ফলে, দেশ আজ এক বৃহৎ ও বহুজাতিক রাষ্ট্রের চেহারা নিতে পেরেছে। সেই সঙ্গে  সকল ধর্মের মানুষ এক জাতীয়তার (যা মধ্যযুগে হিন্দু জাতি এবং বর্তমানে ভারতীয়) ছত্রছায়ায় জড়ো হতে পেরেছে এবং সকলেই এক ভারতীয় জাতি হিসাবে নিজে অনুভব করতে পেরেছে। 

মন্তব্যসমূহ

আরও দেখুন : 👉 বরণীয় মানুষের স্মরণীয় কথা

অমর্ত্য সেন অরুন্ধতী রায় অলডাস হাক্সলি অস্কার ওয়াইল্ড অ্যাঞ্জেলা ডেভিস অ্যাডাম স্মিথ অ্যানিটা ব্রুকনার অ্যান্ড্রু জ্যাকসন অ্যারিস্টটল অ্যালবার্ট আইনস্টাইন অ্যালান ওয়াটস অ্যালান প্যাটন অ্যালান মুর আইজ্যাক গোল্ডবার্গ আওরঙ্গজেব আগাথা ক্রিস্টি আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় আচার্য সত্যেন্দ্র দাস আদি শঙ্করাচার্য আবু হামিদ আল গাজ্জালি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা আব্রাহাম লিংকন আমির খসরু আর্থার শোপেনহাওয়ার আর্থার সি ক্লার্ক আলফ্রেড নোবেল আলবার্ট আইনস্টাইন আলব্যার কাম্যু আলী হোসেন আলেকজান্ডার আলেকজান্দ্রিয়া ওকাশিয়ো-কর্তেজ আল্লামা ইকবাল আসাদ উদ্দিন ওয়াইসি ইবনে সিনা ইমানুয়েল কান্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইয়াসের আরাফাত ইয়েভগেনি ইয়েভতুশেঙ্কো ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর উইনস্টন চার্চিল উইলিয়াম শেক্সপিয়ার উডি অ্যালেন উমর খালিদ ঋত্বিক ঘটক এ পি জে আবদুল কালাম এডওয়ার্ড গিবন এডওয়ার্ড মুঙ্ক এডওয়ার্ড স্নোডেন এডগার অ্যালান পো এপিজে আবদুল কালাম এম এস স্বামীনাথন এমা গোল্ডম্যান এলিজিয়ার ইউডকভস্কি এলিফ শাফাক কনফুসিয়াস কপিল সিবল কমলা হ্যারিস কর্নেল সোফিয়া কুরেশি কাজী নজরুল ইসলাম কার্ট ভনেগাট কার্ল ইয়ুং কার্ল মার্কস কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাস কৌটিল্য ক্রিস পিরিলো খালিদা পারভিন খালেদ হোসেইনি গীতা গুন্টার গ্রাস গুরজাদা আপ্পা রাও গোবিন্দ পানসারে গৌতম বুদ্ধ গ্রেটা থুনবার্গ চন্দন রায় চাই জিং চাণক্য চার্লস বুকাওস্কি চিনুয়া আচেবে জঁ পল সার্ত্র জন এফ কেনেডি জর্জ অরওয়েল জর্জ ক্যানিং জহরলাল নেহেরু জিড্ডু কৃষ্ণমূর্তি জিমি কার্টার জিমি হেনড্রিক্স জুলস রেনার্ড জেমস গ্রাহাম ব্যালার্ড জোসেফ কনরাড জ্যাক-ইভেস কৌস্তু জ্যোতি বসু জ্যোতিরাও ফুলে টমাস মান ড. আহমদ শরীফ ড. মহাম্মদ ইউনুস ড. মায়া অ্যাঞ্জেলু ড. মেঘনাথ সাহা ডঃ রণজিৎ বসু ডরিস লেসিং ডেভিড অ্যাটেনবরো ডেরেক ও’ব্রায়ান ডেসমন্ড টুটু থিওডোর রুজভেল্ট থিচ নাট হান দলাই লামা দীনেশচন্দ্র সেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর দ্যুতি মুখোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদী নাইজেল ফারাজে নাওমি উলফ নাওমি ক্লাইন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু নেপোলিয়ন বোনাপার্ট নেলসন ম্যান্ডেলা নোম চমস্কি পল ভ্যালেরি পাবলো ক্যাসালস পিটার ইয়ারো পিথাগোরাস পূর্ণদাস বাউল পেট্রা নেমকোভা পেরিয়ার পোপ দ্বিতীয় জন পল পোপ ফ্রান্সিস প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রতুল মুখোপাধ্যায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ প্রশান্ত ভূষণ প্লুটার্ক প্লেটো ফিদেল কাস্ত্রো ফেই ফেই লি ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট ফ্রেড অ্যালেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বব ডিলান বব মার্লে বান কি-মন বার্ট্রান্ড রাসেল বার্নি স্যান্ডার্স বি আর আম্বেদকর বিচারপতি বিনোদ দিবাকর বিনায়ক দামোদর সাভারকার বিমান বসুর মন্তব্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বেগম রোকেয়া বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বেনিতো মুসোলিনি বেনিত্তো মুসলিনি বেল হুকস ভি এস নইপল ভি এস নয়পল ভিক্টর হুগো ভ্লাদিমির লেনিন মকবুল ফিদা হুসেন মনমোহন সিং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাত্মা গান্ধী মহাবীর মহাভারত মাও সে তুং মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি মাওলানা ভাসানী মাদার টেরেসা মাদ্রী কাকোটি মার্ক টোয়েন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্গারেটর থ্যাচার মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র মালালা ইউসুফজাই মাহমুদ দারুউইশ মিশেল ফুকো মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ মেরি শেলি মোহন ভাগবত মোহাম্মদ আলী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ম্যালকম এক্স যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত যদুনাথ সরকার যুধিষ্ঠির রঘুরাম রাজন রঞ্জন চক্রবর্তী রঞ্জিত সেন রণজিৎ গুহ রবার্ট ফ্রস্ট রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাজীব গান্ধী রামকিংকর বেজ রামকৃষ্ণ পরমহংস রুপসা রায় রুপি কাউর রেভারেন্ড অ্যান্ডু ফুলার রোজা পার্কস লি হুইটনাম লিও তলস্তয় লুডভিগ উইটগেনস্টাইন লুপিতা নিইয়ং’ও লেনার্ড বার্নস্টাইন শংকরাচার্য শতাব্দী দাস শময়িতা চক্রবর্তী শমীক লাহিড়ী শিবরাম চক্রবর্তী শিবাজী শিমন পেরেস শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় শুভময় মিত্র শুভেন্দু অধিকারী শেখ মুজিবুর রহমান শ্রী সারদা দেবী শ্রীকৃষ্ণ শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তি সক্রেটিস সমরেশ বসু সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণন সান ইয়াত সেন সালমান রুশদি সিগমুন্ড ফ্রয়েড সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় সিমন দ্য বোভোয়া সিমোন দ্য বোভোয়া সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সেবাস্তিয়ান লেলিয়ো সেরেনা উইলিয়ামস সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় সৌরভ গাঙ্গুলী স্টিফেন কিং স্টিফেন হকিং স্বামী বিবেকানন্দ স্যাম অল্টম্যান স্যার উইলিয়াম জোন্স স্লাভোজ জিজেক হওয়ার্ড জিন হজরত আলী হজরত মুহাম্মদ হযরত মুহাম্মদ হাইপেশিয়া হিটলার হিপোক্রেটিস হিমাংশী নারওয়াল হেনরি ফোর্ড হেরাক্লিটাস হেরাস হেলমুট নিউটন হেলেন কেলার হোরেস হোসে সরামাগো
আরও দেখান

আরও দেখুন : 👉 গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্মরণীয় উক্তি

অবৈতনিক শিক্ষা অভিবাসী অমুসলিমদের অধিকার অরাজনৈতিক লেখক অর্থ বা টাকা অর্থনীতি অর্থনৈতিক সংস্কার অর্ধসত্য অলসতা অসততা অসত্য অসহিষ্ণুতা অসাম্য অহিংসা আইন আইনজীবী আত্ম সমীক্ষা আধুনিক বিজ্ঞান আধ্যাত্বিক জীবন আমলাতন্ত্র আমলাদের ভূমিকা আমেরিকান ড্রিম আমেরিকার ইংরেজ শাসন ইউক্রেন ইউনিয়ন ইউপিএ সরকার ইচ্ছা ইতিহাস ইনকাম ট্যাক্স ইসরাইল ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ ইসলাম ইসলাম ধর্ম ঈশ্বর ঈশ্বর-দর্শন উকিল উদারনীতি উদারপন্থী উদ্দেশ্য উদ্বাস্তু উন্নয়ন উপকথা উপনিষদ উৎপাদন উৎসব একনায়কতন্ত্র ওয়াকফ আইন ওয়াল স্ট্রিট ওষুধ ঔদ্ধত্য ঔপনিবেশিকতা কবি ও কবিতা কবিতা কমিউনিজম কর্ম কলকাতা কল্পনা কাজ কাপুরুষতা কার্য-কারণ সম্পর্ক কাশ্মীরের নিরাপত্তা কুম্ভ মেলা কুসংস্কার কূটনীতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৃষি ব্যবস্থার সমস্যা কৃষিকাজ ক্যান্সার ক্যারিশমা ক্রিয়াবাদের মূলনীতি ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি ক্ষমতা ক্ষমাশীলতা ক্ষুদ্রতা ক্ষুধা খোলা বাজার অর্থনীতি গণতন্ত্র গণনা গণহত্যা গবেষণা গীতা গো-হত্যা ঘৃণা বিদ্বেষ চাকরি চিকিৎসা চিন চিনা প্রবাদ চেতনা ছাত্র যুব জঙ্গল জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব জনবহুল শহর জমির অধিকার জলবায়ু জাতপাত জাতিবিদ্বেষ জাতীয় আয় জাতীয় সুরক্ষা এজেন্সি জাতীয়তাবাদ জীবন জৈন ধর্ম জ্ঞান জ্ঞান চর্চা জ্ঞানী জ্ঞানী ব্যক্তি ঝুঁকি ডাক্তার ডাক্তারের দায়িত্ব ডেমোক্রেটিক পার্টি তিক্ততা তীর্থ দারিদ্র দাসত্ব দায়িত্ব দুঃখ দুঃখের কারণ দুর্নীতি দূষণ দেখা দেশ দেশ ও ধর্ম দেশদ্রোহী দেশপ্রেম দ্বিজাতিতত্ত্ব ধনতন্ত্র ধনী ও ক্ষমতাধর ধরিত্রী ধর্ম ধর্ম ও উদারতা ধর্মগুরু ধর্মগ্রন্থ ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মরাষ্ট্র ধর্মান্তরকরণ ধর্মীয় নিপীড়ন ধর্ষণ ধার্মিক ধৈর্যশীলতা নজরদারি ব্যবস্থা নতুন প্রজন্ম নদী নাগরিকত্ব নামকরণ নারী নারী অধিকার নারী আন্দোলন নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন নারী স্বাধীনতা নারীবাদ নারীবিদ্বেষ নারীর সাফল্য নিয়ম নির্বাচন নির্বোধ নীরবতা নেতৃত্ব নৈরাজ্য ন্যায়বিচার ন্যায় পরিবর্তন পরিবার ভেঙে যাওয়া পরিবেশ দূষণ পরিশ্রম পরিসংখ্যান পলিটিক্যল কারেক্টনেস পশ্চিম এশিয়ার সংঘাত পহেলগাও পাগল পাপ পাসওয়ার্ড পুঁজি পুঁজিপতি পুথিপাঠ পুরুষ পুরুষ মানুষ পুরোহিত পুলওয়ামা সন্ত্রাসবাদী হামলা পূজা পৃথিবী পৌরাণিক কাহিনি প্যালেস্টাইন প্রকৃতি প্রতিকৃতি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি প্রতিজ্ঞা প্রতিবাদ প্রতিভা প্রযুক্তি প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রিয় হবার কারণ প্রেম ফ্যাসিজম ফ্যাসিবাদ বক্তা বজ্রপাত বড় বিষয় বন্ধু বাঁশি বাঁশির সুর বাংলা ভাষা বাংলা ভাষা আন্দোলন বাংলা সাহিত্য বাংলাদেশ বাঙালি বার্ধক্য বিচার বিভাগের ক্ষমতা বিচার বিভাগের ভুল বিচারব্যবস্থা বিজয় বিজেপি সরকার বিজ্ঞান বিজ্ঞান চেতনা বিদ্যা বিদ্রোহ বিপর্যয় বিপ্লব বিবাহ বিশৃঙ্খলা বিশ্বযুদ্ধ বিশ্বাস বিশ্বের মূল সমস্যা বুড়ো হাওয়া বুদ্ধি বুদ্ধিমত্তা বুদ্ধিমান মানুষ বৃহৎ শহর বেহেস্ত বৈবাহিক ধর্ষণ বোঝাপড়া বৌদ্ধধর্ম ব্যক্তি জীবন ব্যক্তি স্বার্থ ব্যবসা ব্রাহ্মণ ব্রিটিশ শিল্প ব্যবস্থা ভক্তি ও ভক্তিভাজন ভগবান ভয় ভর্তুকি ভারত ভারতবর্ষ ভারতীয় জনগণ ভারতীয় সংবিধান ভারতীয় সেনাবাহিনী ভারতের অর্থনীতি ভালো থাকা ভালো নাগরিক ভালোবাসা ভাষা ভাষার বিলুপ্তি ভোট ভ্রাতৃত্ববোধ মত প্রকাশের স্বাধীনতা মন মনুষ্যত্ব মনের ব্যথা মন্দির মন্দির-মসজিদ বিতর্ক মহাকুম্ভ মহান আত্মা মহাবিশ্ব মহাভারত মহামারী মা মাতৃভাষা মানব পাচার মানবধিকার মানবসম্পদ মানুষ মানুষ হত্যা মারাঠা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিউজিসিয়ান মিডিয়া মিথ্যা মুক্তির উপায় মুসলমান মুসলিম বিজয় মৃত্যু মেধাবী মেয়েদের ক্ষমতা মোবাইল ফোন যুক্তি যুক্তিবাদী মানুষ যুদ্ধ রণকৌশল রাগ রাজধর্ম রাজনীতি রাজনীতিবিদ রাজনৈতিক ক্ষমতা রাষ্ট্র রাষ্ট্রপতি রোগ নিরাময় লক্ষ্য লাল ফিতা লেখক শঙ্কা শান্তি শান্তি পর্ব শিক্ষক শিক্ষকতা শিক্ষা শিক্ষাল্পতা শিক্ষিত মানুষ শিখ গণহত্যা শিখ-বিরোধী দাঙ্গা শিল্পের ভাষা শিল্পের স্বাধীনতা শিশু শিশুশ্রম শুদ্ধ ও সঠিক চিন্তা শূদ্র জাতি শোষক শ্রমিক শ্রেণি শ্রমের শ্রীলঙ্কা সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যালঘু সংবিধান সংবিধানের বেসিক স্ট্রাকচার সংস্কার সংস্কৃত ভাষা সংস্কৃতি সততা ও শিক্ষা সত্য সন্ত্রাসবাদ সন্দেহ সন্ন্যাসী সবুজ উদ্ভিদ সমাজ সমাজ বিষয়ক সমাজচ্যুত দল সমাজতন্ত্র সমৃদ্ধি সম্পদ সম্মান সম্মেলন সরকার সহিষ্ণুতা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সাধারণতন্ত্র সাফল্য সামাজিক স্বাধীনতা সাম্প্রদায়িকতা সাম্যবাদ সাম্রাজ্যবাদ সাহস সাহিত্যিক সিদ্ধান্ত সুখ সুন্দরতম জিনিস সুপ্রিম কোর্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সুশাসন সৃষ্টিকর্তা সোনা সৌন্দর্য স্কুল বোর্ড স্ট্রিট গ্যাং স্ত্রীকে লেখা পত্র স্থায়িত্ব স্বপ্ন স্বর্গ স্বাধীনতা স্বাধীনতা সম্পর্কিত স্বামী স্বাস্থ্য স্বাস্থ্যব্যবস্থা স্লোগান হালকা হওয়া হিংসা হিন্দু হিন্দু ধর্ম হিন্দু মহাসভা হিন্দু মুসলমান সম্পর্ক হিন্দু শাস্ত্র হিন্দু সমাজ হিন্দুত্ব হিন্দুর ভগবান হিন্দুশাস্ত্রে বিজ্ঞান
আরও দেখান

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ