আমলাদের ভূমিকা সম্পর্কে আসাদ উদ্দিন ওয়াইসির মন্তব্য
আমলাদের ভূমিকা সম্পর্কে আসাদ উদ্দিন ওয়াইসির মন্তব্য :
“দেশের স্বার্থে কঠোর পরিশ্রম করা এক মার্জিত কূটনীতিক বিক্রম মিশ্রি। আমাদের আমলারা সিদ্ধান্ত নেন না তা পালন করেন শুধু। সিদ্ধান্ত নেন ক্ষমতায় থাকা নেতৃত্ব।”
— আসাদউদ্দিন ওয়াইসি
উক্তিটি ইংরেজিতে পড়ুন
উক্তিটির উৎস ও প্রসঙ্গ জানুন :
Asaduddin Owaisi's comments on the role of bureaucrats
Asaduddin-Owaisis-comments-on-the-role-of-Bureaucrats
১৯৪৭ সাল থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ সংঘটিত হয়েছে। সংঘর্ষ গুলির অধিকাংশই কাশ্মীরের উপর অধিকার এবং সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে।
সম্প্রতি ২২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গিদের হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগ দাবি করে, এই ঘটনায় পাকিস্তান জড়িত এবং তাদের আশ্রয় থেকেই জঙ্গিরা নিরীহ নাগরিকদের হত্যা করেছে। পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠন ‘লস্করই তৈয়বা’র একটি শাখা ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ এই হামলার দাবি করে বলে জানা যায়। যদিও পড়ে এই গোষ্ঠীটি দায় অস্বীকার করে এবং বলে যে এটি হ্যাক করা হয়েছে।
এই অভিযোগকে সামনে রেখে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই সংঘর্ষের বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে ভারতীয় নাগরিকদের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করার দায়িত্ব পড়ে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রির উপর।
কিন্তু ১০ই মে শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে উভয় দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা করা হয়। ভারতের বিদেশের সচিব বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান। ভারতের একটি দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। যুদ্ধবিরতির পর তাঁর এক্স একাউন্টে একটি পারিবারিক ছবি পোস্ট করলে তিনি ভয়ংকর ভাবে ট্রোলের শিকার হন। কারণ এই রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা যুদ্ধ বন্ধের সমস্ত দায় তার ঘাড়ে চাপিয়ে দেন।
কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার কোন একটি আর বিক্রম মিস্রি কোন সহ কোন আমলারই থাকে না। এটা না জেনেই মিশ্রির উপর এই আক্রমণ নামিয়ে আনে। মূলত এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘সর্বভারতীয় মজলিসই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ দলের সভাপতি আসাদ উদ্দিন ওয়াইসি উদ্ধৃত উক্তিটি করেছিলেন। তিনি তাঁর এক্স একাউন্টে এই মন্তব্যটি করেছেন। দা ইকোনমিক টাইমস সহ ভারতের প্রথম সারির সংবাদপত্রে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। আসাদউদ্দিন লিখেছেন, “মিঃ বিক্রম মিস্রি একজন ভদ্র এবং সৎ কঠোর পরিশ্রমী কূটনীতিক যিনি আমাদের জাতির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। আমাদের সরকারি কর্মচারীরা নির্বাহী বিভাগের অধীনে কাজ করেন, এটি মনে রাখা উচিত এবং নির্বাহী বিভাগ/অথবা ওয়াতান-ই-আজিজ পরিচালনাকারী কোনও রাজনৈতিক নেতৃত্বের নেওয়া সিদ্ধান্তের জন্য তাদের দোষ দেওয়া উচিত নয়।”
আসাদউদ্দিন ওয়াইসির এই মন্তব্যটি উদ্ধৃত করেছেন অংশুমান কর (বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক) তাঁর এই সময় পত্রিকার উত্তর সম্পাদকীয় প্রবন্ধে। প্রবন্ধটি, ‘ভদ্রবেশী বর্বরতা উঠিয়াছে জাগি পঙ্কশয্যা হতে’ এই শিরোনামে প্রকাশিত হয় ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বুধবার, ১৪ই মে ২০২৫।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন