রামকিংকর বেজের উক্তি
রামকিংকর বেজের উক্তি
![]() |
রামকিংকর বেজের উক্তি |
“ঈশ্বর যা সৃষ্টি করেছেন, তার থেকে আনন্দ নাও।… সংগাত নয়… লড়াই নয়… লীলা।”
— রামকিংকর বেইজ
উক্তিটি ইংরেজিতে পড়ুন
উক্তিটির উৎস ও প্রসঙ্গ জানু
আজকের সময়ে শিল্পীদের মূল সমস্যা কী?💬 ফ্রিডম… ফ্রিডম টু ওয়র্ক। ফ্রিডম।… কাজ করার ইচ্ছা। (থেমে একটু ভাবেন)… চলে আসবে… চলে আসে।… আর জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক… আমি মানুষ দেখেছি… বামন নিয়ে কী হবে?
💬 ঘর বাঁধার সুখ আমার শিল্পের কাছেই মিটে যায়।
💬 কাণ্ডই আসল।… তা-ই সজীব।… পাতা তো আসবেই।… ফুল আসবে।… আসল হল শিকড়, আসল হল কাণ্ড।
একবার পিকাসো নিজের প্রদর্শনী চলাকালীন দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, প্রকৃতি না-থাকলে শিল্পীও থাকে না। প্রকৃতিকে পুনর্নির্মাণ করতে গিয়ে শিল্পী তাকে অপমানই করে।
💬 অপমান করতে পারবে না।… অপমান নয়।… অপমান করতে পারবে না। সে অনুকরণ করে না।… প্রকৃতি।… প্রকৃতি… লীলা। প্রকৃতি… মায়া।… খেলা। ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন।… এই ভাবে খেলেছেন।… আমাদের খেলতে দেবেন না কেন? আমরাও খেলব। তাঁর খেলায় একটা অনুশাসন আছে… মুক্ত অনুশাসন। খেলা… তুলিও খেলতে পারো। এই সৃষ্টিও খেলা। আমি খেলা করি… নিশ্চিন্ত হয়ে। রবীন্দ্রনাথের একটা কবিতা আছে— ‘তোমারই নাম বলব, বলব নানান ছলে…’( গুনগুনিয়ে শুরু করে ক্রমে দরাজ গলায় গাইতে শুরু করলেন)… ‘বলব মুখের হাসি দিয়ে, বলব চোখের জলে’… আমার হাসিও তাঁর… আমার ভাবও তাঁর।… প্রকৃতি… প্রকৃতি। পিকাসো-র সংকোচ আছে, তা-ই এমন বলেছে।… ইশ্বর সৃষ্টি করেছেন… অকারণে।… শিশু জন্ম দেওয়ারও কারণ আছে।… ঈশ্বর যা সৃষ্টি করেছেন, তার থেকে আনন্দ নাও।… সংগাত নয়… লড়াই নয়… লীলা।
💬 যদি আমি আনন্দ না-পেতাম, তবে কাজ করতাম না… প্রশ্ন নয়… সব ভুলে যেতে হবে।… খেলা করতে হবে। মনে কোন অসন্তোষ থাকলে বুঝব যে তুমি এখনও ভোলোনি।… জন্ম হয় ভবিষ্যতের জন্য।
💬 যেখানেই গেছি… যাদের প্রকৃত সক্রিয়তা দেখেছি… তাদের এঁকেছি। তাদের (সাওতালদের) মধ্যে রূপের প্রাচুর্য আছে।
💬 শিল্পী যা করে, সবই তার সেল্ফ পোর্ট্রেট।
সৃষ্টি করার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কী?
💬 উন্মুক্ত মন।… মনের উন্মুক্ততা অবশ্য প্রয়োজন।… ফিলিং… ফিলিং।
💬 ফিলিং ফর এভরিথিং।… ফিলিং। যদি ফিলিং দুর্বল হয়, তবে শুধুই নিরাশা।… ফিল… ফিল।… ধ্যান ঠিক হলে ফিলিং হবে।
💬 আমি সে রকম ভিখারি নই।… কিচ্ছু চাই না।… আমি সব কিছুই আমার কাজ থেকে পাই।
এই উক্তিগুলি রামকিংকর বেইজের একটি সাক্ষাৎকার থেকে নেওয়া। এই সাক্ষাত্কারটি ললিতকলা আকাদমি-র হিন্দি জার্নাল ‘সমকালীন কলা’য় (১৯৮৫) প্রথম প্রকাশিত হয়। এই অনুবাদ প্রথম ছাপা হয় ‘চাক্ষুষ’ নামে বিচিত্রবিদ্যার পরিচয়জ্ঞাপক এক পত্রিকার শেষ সংখ্যায় ( নভেম্বর, ১৯৯৩)। তারপর অন্তর্ভুক্ত হয় রামকিঙ্কর-এর লেখাপত্তর ও সাক্ষাৎকারের সংকলন ‘আমি চাক্ষিক, রূপকার মাত্র’-এ। মূল সাক্ষাৎকারটি ১৯৭৭-এর অক্টোবরে নিয়েছিলেন জওয়াহর গোয়ল, ভাষান্তর করেছেন অলকানন্দা সেনগুপ্ত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন