কোরআন সম্পর্কে শিবাজির মন্তব্য
কোরআন সম্পর্কে শিবাজির মন্তব্য :
“কোরআন একটি স্বর্গীয় গ্রন্থ। ঈশ্বরের বার্তাই কোরআন। কোরআন বলে যে ঈশ্বর সকল মুসলমানের, বস্তুত তিনি গোটা জগতের।”
— ছত্রপতি শিবাজি
উক্তিটি ইংরেজিতে পড়ুন
উক্তিটির উৎস ও প্রসঙ্গ জানুন :
Shivaji's comments on the Quran
Shivajis-comments-on-the-Quran
যিনি যেমন চাষ করবেন, তেমন ফসল লাভ করবেন। সেই সম্রাটদের সর্বদা দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল প্রজাদের মঙ্গলের প্রতি। কিন্তু এখন আপনার শাসনকালে আপনাকে বহু দুর্গ ও অনেক প্রদেশ হারাতে হয়েছে। বাকি অংশগুলি ও হয়তো দ্রুত আপনার হাতছাড়া হবে। এর একমাত্র কারণ হলো আপনি কোন প্রকার নীচ কর্ম বাদ রাখেননি। প্রজাদের চরম দুর্দশায় ফেলেছেন। কোন রাজস্ব বিভাগ তাদের মোট আয়ের এক শতাংশ রাজস্ব দিচ্ছে না। এমনকি সম্রাট এবং তার পরিজনেরাও তীব্র অর্থ সংকটে ভুগছেন। ফলে এই পরিস্থিতিতে অন্যান্য রাজা-বাদশারা কেমন আছেন, তা সহজেই অনুমেয়। স্পষ্ট তো দেখা যাচ্ছে সেনাবাহিনীও ভুগছে। ব্যবসায়ীরা হা-হুতাশ করছেন, মুসলমানেরা কাঁদছেন। হিন্দুরা ভেতরে ভেতরে জ্বলছেন। বহু মানুষ পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছেন না। এর নাম শাসন? তার ওপর চেপে বসেছে জিজিয়া। জিজিয়া শব্দটা কবে পশ্চিমে কাছে দূরে সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে যে হিন্দুস্থানের সম্রাট ফকির ব্রাহ্মণ সেবা দাস যৌগিক সন্ন্যাসী বৈরাগী দরিদ্র এবং দুস্থ সকলের উপর জিজিয়া কর বসিয়েছেন। সম্রাট এই জিজিয়া আদায় করে খুবই গর্বিত এবং তিনি সম্রাট তৈমুরের কীর্তিকেও ছাপিয়ে গেছেন। কোরআন একটি স্বর্গীয় গ্রন্থ। ঈশ্বরের বার্তাই কোরআন। কোরআন বলে যে ঈশ্বর সকল মুসলমানের, বস্তুত তিনি গোটা জগতের। ভালো হোক বা মন্দ হোক উভয়ই তাঁর সৃষ্টি। মসজিদে তাঁর কাছেই আমরা প্রার্থনা জানাই, মন্দিরে তাঁর উদ্দেশ্যেই ঘন্টা বাজাই। অন্য কোন ধর্মের বিরুদ্ধাচারণ করার অর্থ নিজের ধর্ম পরিত্যাগ করা। ঈশ্বরের নির্দেশকেই মুছে দেওয়া, যেন ঈশ্বরকেই দায়ী করা। আপনাকে তাই ভালো মন্দের মধ্যে বিভাজন করতেই হবে। একাজ খুব জরুরি, কারণ বিশ্বের যে কোন বস্তুকে কালিমালিপ্ত করার অর্থ, সেই বস্তুর স্রষ্টাকেও কালিমালিপ্ত করা। জিজিয়া তাই কোনভাবেই ন্যায্য নয়।
উৎস : জিজিয়া কর বিষয়ে ঔরঙ্গজেব লেখা শিবাজির চিঠি, চিঠি নং ৩, ১৬৫৭ সাল, গ্রন্থ 'Who was Shivaji?' - Govind Pansare, প্রকাশকাল - ডিসেম্বর ২০০৫
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন