জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে অ্যাঞ্জেলা মার্কেল
জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে অ্যাঞ্জেলা মার্কেল :
“জলবায়ু পরিবর্তন কোন সীমান্ত মানে না। সমগ্র আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে সুস্থায়ী উন্নয়নের দায়িত্ব নিতে হবে।”
—অ্যাঞ্জেলা মার্কেলউক্তিটি ইংরেজিতে পড়ুন
উক্তিটির উৎস ও প্রসঙ্গ জানুন :
২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে অবস্থিত ‘লোই ইনস্টিটিউটে’ (Lowy Institute) এক বার্ষিক বক্তৃতায় জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল অস্ট্রেলিয়াকে তাদের গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের লক্ষ্যমাত্রা প্রকাশের জন্য চাপ দেন। এখানে তিনি কার্বন নির্গমন কমাতে আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। এই বক্তৃতায় মার্কেল বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের কোনও সীমানা নেই। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ এবং এখানকার সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একটি টেকসই উন্নয়ন আনার দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত এটি থামবে না।”অর্থাৎ মার্কেল জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে কথা বলতে এবং করনীয় বিষয়গুলোর প্রতি জোর দিতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্যটি করেছেন।
লোই ইনস্টিটিউটে এই বিস্তৃত ভাষণে, মার্কেল ইবোলার ‘ভয়াবহ রোগ’, চীনের উত্থান (‘শান্তিপূর্ণ এবং কোনও ভাঙন ছাড়াই’) এবং পূর্ব ইউক্রেনে গৃহযুদ্ধের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। মার্কেল ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলির গুরুত্বের বিষয়বস্তুর সাথে বিষয়গুলি সংযুক্ত করেন।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানির মধ্যে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে সহায়তা করার কথা বলা হয়। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট এবং জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল একটি যৌথ কর্মী গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেন। মিঃ অ্যাবটের মতে, এই যৌথ কর্মী গোষ্ঠীর দ্বৈত উদ্দেশ্য থাকবে। যথা, ১) এই যৌথ কর্মী গোষ্ঠীটি কীভাবে দুই দেশ তাদের সম্পর্ক আরও গভীর করতে পারে এবং ২) ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কীভাবে এই জুটি সহযোগিতা করতে পারে তা নির্ধারণে সহায়তা করবে। অ্যাবট নিশ্চিত করেছেন যে এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী, তবে তিনি চান জার্মানি-অস্ট্রেলিয়ার এই সম্পর্ক আরও ভালো অর্থনৈতিক ফলাফল বয়ে আনুক।
--------Xx------
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন