প্রেম সম্পর্কে অস্কার ওয়াইল্ডের উক্তি

প্রেম সম্পর্কে অস্কার ওয়াইল্ডের উক্তি :

“মানুষের সব সময়ে প্রেমে থাকা উচিত। আর সেই কারণেই তাদের কখনও বিয়ে করা উচিত নয়।”

—অস্কার ওয়াইল্ড
উক্তিটি ইংরেজিতে পড়ুন 
উক্তিটির উৎস ও প্রসঙ্গ জানুন :

Oscar Wilde's quotes about love
Oscar-Wildes-quotes-about-love

অস্কার ওয়াইল্ডের কালজয়ী উক্তিটি, “মানুষের সব সময়ে প্রেমে থাকা উচিত। আর সেই কারণেই তাদের কখনও বিয়ে করা উচিত নয়” — শুধুমাত্র একটি চতুর মন্তব্য নয়, বরং এটি একটি গভীর দার্শনিক, সামাজিক ও ব্যক্তিগত বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। এই উক্তিটির মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে কীভাবে এই আপাত-সরল উক্তিটি ভিক্টোরিয়ান সমাজের ভণ্ডামি, অস্কার ওয়াইল্ডের ব্যক্তিগত জীবন এবং তাঁর নান্দনিকতাবাদী (Aestheticism) দর্শনের মূল ভিত্তিগুলোকে ফুটিয়ে তোলে।

১. উক্তিটির উৎস এবং সাহিত্যিক প্রেক্ষাপট :

১.১ উৎসের :

এই উক্তিটি অস্কার ওয়াইল্ডের দুটি ভিন্ন সাহিত্যকর্মে পাওয়া যায়—

১. A Woman of No Importance (1893) নাটকে:

এই উক্তিটি প্রথম দেখা যায় তাঁর অন্যতম জনপ্রিয় নাটক ‘A Woman of No Importance’-এ। এখানে যে চরিত্রটির মুখ দিয়ে উক্তিটি প্রকাশ করেছেন তিনি হলেন লর্ড ইলিংওয়ার্থ।  লর্ড ইলিংওয়ার্থ হলেন একজন বুদ্ধিদীপ্ত ও নিস্পৃহ ড্যান্ডি। নাটকটিতে লর্ড ইলিংওয়ার্থ তাঁর নতুন সচিব জেরাল্ডকে পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেছেন, “সবারই সবসময় প্রেমে থাকা উচিত। সে কারণেই একজনের কখনও বিয়ে করা উচিত নয়”। এই উক্তিটি তার চরিত্রের নিরাসক্ত এবং বৈপরীত্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে। 

২. Lord Arthur Savile's Crime and Other Stories (1891) গল্পগ্রন্থে: 

এই উক্তিটি তাঁর ছোটগল্প সংকলন Lord Arthur Savile's Crime and Other Stories-এর ভূমিকাতেও উল্লেখিত হয়েছে। একই উক্তি দুটি ভিন্ন সময়ে ও মাধ্যমে পুনরাবৃত্তি হওয়া থেকে বোঝা যায় যে এটি ওয়াইল্ডের সাহিত্যিক চিন্তার একটি মৌলিক অংশ ছিল।

উল্লেখ্য, প্রায়শই এই উক্তিটি অস্কার ওয়াইল্ডের বিখ্যাত উপন্যাস The Picture of Dorian Gray থেকে এসেছে বলে ভুল করে থাকন। কিন্তু গবেষণা থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে উক্তিটি উক্ত উপন্যাসে সরাসরি উপস্থিত নেই।

১.২ ড্যান্ডি চরিত্রের ভূমিকা: 

লেখক এবং তাঁর চরিত্রের মধ্যেকার দূরত্ব :

অস্কার ওয়াইল্ড তাঁর সবচেয়ে শক্তিশালী এবং বিতর্কিত ধারণাগুলো সরাসরি নিজের নামে প্রকাশ না করে তাঁর সৃষ্ট ‘ড্যান্ডি’ চরিত্রগুলোর মাধ্যমে প্রকাশ করতেন। এই ড্যান্ডি চরিত্রগুলো, যেমন লর্ড ইলিংওয়ার্থ বা The Picture of Dorian Gray-এর লর্ড হেনরি, সমাজের প্রচলিত মূল্যবোধকে ব্যঙ্গ ও কৌতুকের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ করত। এই চরিত্রগুলোর মাধ্যমে অস্কার ওয়াইল্ড এক ধরনের সাহিত্যিক ঢাল তৈরি করেছিলেন।

এই কৌশলের কারণ হলো: 

ওয়াইল্ড বিশ্বাস করতেন যে শিল্পের একমাত্র উদ্দেশ্য সৌন্দর্য অনুসরণ করা, নীতি বা নৈতিকতা প্রচার করা নয়। শিল্পকে তিনি নৈতিকতার ঊর্ধ্বে স্থান দিতেন। তাই সরাসরি কোনো নৈতিক বা সামাজিক বার্তা দেওয়ার পরিবর্তে, তিনি এমন চরিত্র তৈরি করেন যারা তাদের তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তা ও বিদ্রূপের মাধ্যমে সমাজের ভণ্ডামিগুলো উন্মোচন করে। লর্ড ইলিংওয়ার্থের মতো চরিত্রগুলো ওয়াইল্ডের নিজের মতোই একটি ‘শৈল্পিক জীবন’ (artistic life) যাপন করত এবং তাঁদের উক্তিগুলো শুধুমাত্র কৌতুক বা রসিকতা ছিল না, বরং তা গভীর দার্শনিক পর্যবেক্ষণেরই প্রতিফলন ছিল।

এই কৌশলটি ওয়াইল্ডকে তাঁর বিতর্কিত ধারণাগুলো প্রকাশের সুযোগ করে দিত, একই সাথে তিনি সরাসরি তাঁর ব্যক্তিগত মতবাদের জন্য অভিযুক্ত হওয়া এড়াতে পারতেন। এটি তাঁর ‘শিল্পের জন্য শিল্প’ (art for art's sake) দর্শনের একটি ব্যবহারিক প্রয়োগ ছিল। ওয়াইল্ডের এই কৌশল তাঁর জীবনের পরবর্তী মর্মান্তিক অধ্যায়ে আরও গভীর তাৎপর্য লাভ করে, যখন তাঁর নিজের জীবনই একটি শিল্পের মতো সমালোচিত হতে থাকে 

২. ভিক্টোরিয়ান প্রতিষ্ঠান: 

বিদ্রূপ ও স্ববিরোধিতার মাধ্যমে সমালোচনা
ওয়াইল্ডের এই উক্তিটি বিচ্ছিন্ন কোনো মন্তব্য নয়, বরং এটি ভিক্টোরিয়ান সমাজের বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটির উপর তাঁর ব্যঙ্গাত্মক আক্রমণের অংশ।

২.১ বিবাহ:

একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক চুক্তি :

ভিক্টোরিয়ান যুগে বিবাহকে প্রায়শই প্রেম বা আবেগিক বন্ধনের চেয়ে সামাজিক মর্যাদা, সম্পদ এবং বংশবৃদ্ধির একটি বাস্তবসম্মত চুক্তি হিসেবে দেখা হতো। ওয়াইল্ড তাঁর লেখায় এই ধারণাকে তীব্রভাবে বিদ্রূপ করেছেন। তাঁর নাটক The Importance of Being Earnest-এ লেডি ব্র্যাকনেল চরিত্রটি একজন সম্ভাব্য জামাইয়ের পারিবারিক পটভূমি ও অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে প্রশ্নবাণ ছুড়ে দেন। তাঁর কাছে আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং বংশপরিচয়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা সেই সময়ের উচ্চবিত্ত সমাজের বাস্তব চিত্রকে প্রতিফলিত করে।

এই নাটকে ওয়াইল্ড দেখিয়েছেন যে কীভাবে চরিত্রগুলো ভালোবাসার চেয়ে সমাজের নিয়মকানুন এবং ব্যক্তিগত সুবিধার দ্বারা পরিচালিত হয়। সেসিলি ও গোয়েন্ডোলেনের মতো মেয়েরা ‘আর্নেস্ট’ নামের একজন পুরুষকে বিয়ে করতে চায়, কারণ নামটি তাদের মনে ‘নিরঙ্কুশ আত্মবিশ্বাস’ জাগায়। অন্যদিকে, পুরুষ চরিত্ররা বিবাহকে রোমান্সের অবসান বলে মনে করে, কিন্তু সামাজিক অবস্থান বজায় রাখার জন্য এটি তাদের কাছে অপরিহার্য।

২.২ যে ভালোবাসা বিবাহে অনুপস্থিত :

ওয়াইল্ডের কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রেম এবং বিবাহকে দুটি পরস্পরবিরোধী ধারণা হিসাবে উপস্থাপন করে। তার কাছে বিবাহ ছিল রোমান্সের সমাপ্তি এবং একটি একঘেয়ে, সীমাবদ্ধ সম্পর্কের সূচনা। তাঁর আরেকটি বিখ্যাত উক্তি, “একজন বিবাহিত পুরুষের সুখ নির্ভর করে সেই সব মানুষের উপর, যাদের সে বিয়ে করেনি,” এই ধারণারই প্রতিফলন।

একইভাবে, The Importance of Being Earnest-এর অ্যালগারন মঙ্করিফ চরিত্রটি বলে, “প্রস্তাব করার মধ্যে আমি সত্যিই কোনো রোমান্স দেখতে পাই না। প্রেমে থাকাটা খুব রোমান্টিক। যদি কখনও আমার বিয়ে হয়, আমি অবশ্যই সেই সত্যটা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করব”। এই উক্তিগুলো প্রমাণ করে যে ওয়াইল্ডের কাছে ভালোবাসা হলো এক আবেগিক ও অনিয়ন্ত্রিত অবস্থা, যা সমাজের কঠোর নিয়ম-আচার দ্বারা আবদ্ধ বিবাহের সঙ্গে মানানসই নয়।

বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণ

A Woman of No Importance 
লর্ড ইলিংওয়ার্থ
“One should always be in love. That is the reason one should never marry.”
বিবাহ প্রেমের অবসান ঘটায়; ভালোবাসা একটি সচল, মুক্ত অবস্থা।
The Picture of Dorian Gray
লর্ড হেনরি
“The only charm of marriage is that it makes a life of deception absolutely necessary for both parties.”
বিবাহকে ভণ্ডামি ও প্রবঞ্চনার একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেখা হয়।
The Importance of Being Earnest
অ্যালগারন মঙ্করিফ
“It is very romantic to be in love. If ever I get married, I’ll certainly try to forget the fact.”
বিবাহকে রোমান্সের অবসান এবং একটি সামাজিক প্রয়োজনীয়তা হিসাবে দেখা হয়।
A Woman of No Importance
চরিত্রসমূহ
“Men marry because they are tired; women because they are curious. Both are disappointed.”
বিবাহকে ক্লান্তি ও কৌতূহলের ফল হিসেবে তুলে ধরা হয়, যার অনিবার্য পরিণতি হলো হতাশা।
Lord Arthur Savile's Crime and Other Stories
ওয়াইল্ডের উক্তি
“The proper basis for marriage is mutual misunderstanding.”
বিবাহকে ভুল বোঝাবুঝির ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি ভিত্তিহীন সামাজিক প্রথা হিসাবে ব্যঙ্গ করা হয়।

৩. উক্তিটির পেছনে লুকিয়ে থাকা দর্শন: 

নান্দনিকতাবাদ এবং জীবনের অন্বেষণ
ওয়াইল্ডের এই উক্তিটি তার নান্দনিকতাবাদী দর্শনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। এই দর্শন অনুযায়ী, জীবনের সর্বোচ্চ উদ্দেশ্য হলো আনন্দ, সৌন্দর্য এবং অভিজ্ঞতা লাভ করা।

৩.১ ভালোবাসা: একটি নান্দনিক আদর্শ

নান্দনিকতাবাদে (Aestheticism) শিল্পকে নৈতিকতা বা উপযোগিতার ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া হয়। একইভাবে, ওয়াইল্ডের কাছে "প্রেমে থাকা" শুধু একটি আবেগ ছিল না, বরং এটি ছিল একটি তীব্র, সুন্দর এবং "নীতিহীন" অবস্থা—এক ধরনের শিল্প। শিল্প যেমন কোনো নৈতিক নিয়ম মানে না, ভালোবাসা তেমনই সামাজিক নিয়ম বা প্রথার দ্বারা সীমাবদ্ধ নয়।

তাঁর আরেকটি উক্তি, “একজন পুরুষ যেকোনো নারীর সঙ্গে সুখী হতে পারে, যতক্ষণ না সে তাকে ভালোবাসে”। এই উক্তিটি ভালোবাসা ও সুখের মধ্যেকার ব্যবহারিক পার্থক্য তুলে ধরে। এখানে, ভালোবাসা কোনো আরামদায়ক বা স্থিতিশীল সম্পর্ক নয়, বরং এটি এক শক্তিশালী, বিশৃঙ্খল এবং অপ্রতিরোধ্য শক্তি। ওয়াইল্ডের কাছে জীবন এবং শিল্পকে এক করে দেখার প্রবণতা ছিল। তাই, প্রেমে থাকা মানে হলো জীবনের সৌন্দর্য ও আবেগকে তীব্রভাবে উপভোগ করা, যা কোনো প্রতিষ্ঠানের গণ্ডিতে আবদ্ধ হতে পারে না।

৩.২ স্থবিরতার কফিনে বন্দি প্রেম: 

স্থবিরতার প্রত্যাখ্যান
উক্তিটির মূল স্ববিরোধিতা হলো প্রেমের গতিশীল, পরিবর্তনশীল প্রকৃতির সঙ্গে বিবাহের স্থবির, অনুমানযোগ্য কাঠামোর মৌলিক বিরোধ। ওয়াইল্ডের দৃষ্টিতে, বিবাহ হলো এক ধরনের স্থবিরতা, যা একজন ব্যক্তির স্বকীয়তা এবং আত্মিক সম্ভাবনাকে পিষ্ট করে। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে বিবাহ হলো ‘স্থিরতার কফিন’ (coffin of consistency), যা ‘সম্ভাবনার নকল মৃত্যু’ (ersatz death of possibilities) ঘটায়।

ওয়াইল্ডের মতে, প্রেম হল ‘আত্মপ্রকাশ’ (an opening of self)। অন্যদিকে, বিবাহকে তিনি এক ধরনের ‘অকাল মৃত্যু’ (premature dying) বলে মনে করতেন, যেখানে দুটি আত্মা নিজেদের অস্তিত্বকে অন্যের মধ্যে বিলীন করার ভান করে। তাঁর মতে, একটি জীবনকে সার্থক করে তুলতে হলে তা অবশ্যই নান্দনিক, গতিময় এবং অপ্রত্যাশিত রোমান্সের অন্বেষণে নিয়োজিত থাকতে হবে, যা স্থিতিশীল সামাজিক কাঠামো দ্বারা সীমাবদ্ধ হতে পারে না। ওয়াইল্ডের পুরো সাহিত্যকর্ম—তাঁর জাঁকজমকপূর্ণ ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে তাঁর বিদ্রূপাত্মক নাটক পর্যন্ত—ছিল ভিক্টোরিয়ান যুগের বুর্জোয়া নৈতিকতার বিরুদ্ধে এক সুসংগঠিত বিদ্রোহ।

৪. ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিফলন এবং উক্তিটির মর্মান্তিক ব্যঞ্জনা

ওয়াইল্ডের জীবন এই উক্তিটিকে একটি গভীর এবং মর্মান্তিক মাত্রা দেয়। তার ব্যক্তিগত জীবন ছিল সেই ভণ্ডামিরই এক জীবন্ত উদাহরণ যা তিনি তার শিল্পে ব্যঙ্গ করেছেন।

৪.১ দ্বৈত জীবন: 

একজন বিবাহিত পুরুষের গোপন প্রেম
অস্কার ওয়াইল্ড নিজে কনস্ট্যান্স লয়েডের সঙ্গে বিবাহিত ছিলেন এবং তাদের দুটি সন্তান ছিল। বাহ্যিকভাবে তিনি একজন উচ্চবিত্ত ভিক্টোরিয়ান ভদ্রলোকের জীবনের সমস্ত নিয়ম মেনে চলতেন। তবে, গবেষণায় দেখা যায় যে তিনি একটি ‘গোপন জীবন’ যাপন করতেন, যেখানে পুরুষদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল, যার মধ্যে লর্ড আলফ্রেড ডগলাস (Bosie) সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।

এই পরিপ্রেক্ষিতে, লর্ড হেনরির সেই উক্তিটি, “বিবাহের একমাত্র আকর্ষণ হলো এটি উভয় পক্ষের জন্য প্রবঞ্চনার জীবনকে একেবারে প্রয়োজনীয় করে তোলে”—ওয়াইল্ডের নিজের জীবনেরই এক করুণ প্রতিফলন। তাঁকে সমাজের চাপে একটি প্রচলিত মুখোশ পরে থাকতে হয়েছিল, যা তাঁর প্রকৃত পরিচয়কে গোপন করে রেখেছিল

৪.২ শিল্পে প্রতিফলিত জীবন: 

প্রকাশ্যে ব্যক্তিগত সত্তা
প্রতিবেদনটির সবচেয়ে গভীরতম অংশটি হলো ওয়াইল্ডের চূড়ান্ত পতন, যা তার উক্তিগুলোকে এক নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে বাধ্য করে। যখন তিনি লর্ড আলফ্রেড ডগলাসের বাবার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন, তখন তিনি নিজেই ‘স্থূল অশালীনতার’ (gross indecency) অভিযোগে অভিযুক্ত হন এবং কারারুদ্ধ হন।

সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হলো, তাঁর নিজের সৃষ্ট সাহিত্যকর্ম, বিশেষ করে The Picture of Dorian Gray থেকে উদ্ধৃতিগুলো আদালতে তাঁর ‘অনৈতিকতা’র প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। যে ব্যক্তি শিল্পের পবিত্রতা এবং নৈতিকতা থেকে তাঁর বিচ্ছেদকে প্রচার করতেন। তাঁকে সেই সমাজের হাতেই নৈতিকতার মানদণ্ডে বিচার করা হয়েছিল, যার ভণ্ডামি তিনি তাঁর জীবনভর ব্যঙ্গ করে গেছেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন তাঁর সাহিত্যিক তত্ত্বের এক জীবন্ত এবং মর্মান্তিক প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে। তাঁর এই উক্তিটি তাই কেবল একটি সাহিত্যিক ব্যঙ্গ নয়, বরং এটি তাঁর নিজের জীবনের অপ্রতিরোধ্য ট্র্যাজেডির একটি গভীর আর্তনাদ।

উপসংহার: 

একটি কালজয়ী প্ররোচনা :

অস্কার ওয়াইল্ডের উক্তিটি, “মানুষের সব সময়ে প্রেমে থাকা উচিত। আর সেই কারণেই তাদের কখনও বিয়ে করা উচিত নয়,” কোনো তুচ্ছ বা চতুর মন্তব্য নয়। এটি একটি বহুমুখী দার্শনিক বক্তব্য যা ভিক্টোরিয়ান সমাজের কাঠামো, অস্কার ওয়াইল্ডের নান্দনিকতাবাদী দর্শন এবং তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের করুণ বাস্তবতা থেকে উদ্ভূত হয়েছে।

এই উক্তিটি একটি গভীর প্ররোচনা তৈরি করে: 

কীভাবে ভালোবাসার বন্য, বিশৃঙ্খল সৌন্দর্যকে প্রাতিষ্ঠানিক জীবনের নিরাপদ, অনুমানযোগ্যতার সঙ্গে মেলানো যায়? ওয়াইল্ডের কাছে, এই দুটি ধারণার মধ্যে মৌলিক বিরোধ ছিল। তাঁর কাছে, ভালোবাসা ছিল জীবনের গতিশীলতা ও স্বকীয়তার অন্বেষণ, যা বিবাহ নামক সামাজিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা সীমাবদ্ধ হতে পারে না। তাঁর নিজস্ব জীবনের ট্র্যাজেডি এই উক্তিটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলে, কারণ তিনি নিজেই সেই নিয়মের শিকার হয়েছিলেন, যা তিনি এত দারুণভাবে বিদ্রূপ করতেন। তাই, এই উক্তিটি আজও প্রাসঙ্গিক, কারণ এটি প্রেম ও প্রতিশ্রুতির মধ্যেকার মৌলিক টানাপোড়েন নিয়ে আমাদের ভাবতে বাধ্য করে।
------------xx-----------

মন্তব্যসমূহ

আরও দেখুন : 👉 বরণীয় মানুষের স্মরণীয় কথা

অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় অমর্ত্য সেন অমিত মালব্য অরুন্ধতী রায় অর্ধেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় অলডাস হাক্সলি অস্কার ওয়াইল্ড অ্যাঞ্জেলা ডেভিস অ্যাঞ্জেলা মার্কেল অ্যাডলাই স্টিফেনসন অ্যাডাম স্মিথ অ্যানিটা ব্রুকনার অ্যান্ড্রু জ্যাকসন অ্যারন কোপল্যান্ড অ্যারিস্টটল অ্যালবার্ট আইনস্টাইন অ্যালান ওয়াটস অ্যালান প্যাটন অ্যালান মুর অ্যালান সেভরি অ্যালিস ওয়াটার্স অ্যালেক্সিস হার্ম্যান আইজ্যাক গোল্ডবার্গ আওরঙ্গজেব আগাথা ক্রিস্টি আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় আচার্য সত্যেন্দ্র দাস আদি শঙ্করাচার্য আবু হামিদ আল গাজ্জালি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা আব্রাহাম লিংকন আমির খসরু আর্থার শোপেনহাওয়ার আর্থার সি ক্লার্ক আলফ্রেড নোবেল আলবার্ট আইনস্টাইন আলব্যার কাম্যু আলী হোসেন আলেকজান্ডার আলেকজান্দ্রিয়া ওকাশিয়ো-কর্তেজ আল্লামা ইকবাল আসাদ উদ্দিন ওয়াইসি ইবনে সিনা ইমানুয়েল কান্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইয়াসের আরাফাত ইয়েভগেনি ইয়েভতুশেঙ্কো ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর উইনস্টন চার্চিল উইলিয়াম শেক্সপিয়ার উডি অ্যালেন উমর খালিদ ঋত্বিক ঘটক এ পি জে আবদুল কালাম এডওয়ার্ড গিবন এডওয়ার্ড মুঙ্ক এডওয়ার্ড স্নোডেন এডগার অ্যালান পো এম এস স্বামীনাথন এমা গোল্ডম্যান এরিয়েল ডুরান্ট এলভিস প্রেসলি এলিজিয়ার ইউডকভস্কি এলিফ শাফাক কনফুসিয়াস কপিল সিবল কমলা হ্যারিস কর্নেল সোফিয়া কুরেশি কল্পনা দত্ত কাজী নজরুল ইসলাম কার্ট কোবেন কার্ট ভনেগাট কার্ল ইয়ুং কার্ল মার্কস কাহিল জিব্রান কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাস কেশবচন্দ্র সেন কৌটিল্য ক্রিস পিরিলো ক্ষিতিমোহন সেন খালিদা পারভিন খালেদ হোসেইনি গুন্টার গ্রাস গুরজাদা আপ্পা রাও গোবিন্দ পানসারে গোল্ডা মেয়ার গৌতম বুদ্ধ গ্রেটা থুনবার্গ চন্দন রায় চাই জিং চাণক্য চার্লস বুকোওস্কি চিনুয়া আচেবে চে গেভারা জঁ পল সার্ত্র জওহরলাল নেহেরু জন এফ কেনেডি জর্জ অরওয়েল জর্জ ওয়াশিংটন জর্জ ক্যানিং জিড্ডু কৃষ্ণমূর্তি জিমি কার্টার জিমি হেনড্রিক্স জুলস রেনার্ড জে উইলিয়াম ফুলব্রাইট জেমস গ্রাহাম ব্যালার্ড জেমস বোভার্ড জোসেফ কনরাড জ্যাক-ইভেস কৌস্তু জ্যোতি বসু জ্যোতিরাও ফুলে টম পলিন টমাস জেফরসন টমাস মান ড. আহমদ শরীফ ড. মহাম্মদ ইউনুস ড. মায়া অ্যাঞ্জেলু ড. মেঘনাথ সাহা ডঃ রণজিৎ বসু ডরিস লেসিং ডেভিড অ্যাটেনবরো ডেরেক ও’ব্রায়ান ডেসমন্ড টুটু থিওডোর রুজভেল্ট থিচ নাট হান দলাই লামা দীনেশচন্দ্র সেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর দ্যুতি মুখোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদী নাইজেল ফারাজে নাওমি উলফ নাওমি ক্লাইন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু নেপোলিয়ন বোনাপার্ট নেলসন ম্যান্ডেলা নোম চমস্কি পল ভ্যালেরি পাবলো ক্যাসালস পার্থ চট্টোপাধ্যায় পিটার ইয়ারো পিথাগোরাস পূর্ণদাস বাউল পেট্রা নেমকোভা পেরিয়ার পোপ দ্বিতীয় জন পল পোপ ফ্রান্সিস প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রতুল মুখোপাধ্যায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ প্রশান্ত ভূষণ প্লুটার্ক প্লেটো ফিদেল কাস্ত্রো ফেই ফেই লি ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট ফ্রান্সিস বেকন ফ্রান্সেসকা ওরসিনি ফ্রিডরিখ নিৎশে ফ্রেড অ্যালেন ফ্লোরা লুইস বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বব ডিলান বব মার্লে বল্লভভাই প্যাটেল বান কি-মন বারাক ওবামা বার্ট্রান্ড রাসেল বার্নি স্যান্ডার্স বি আর আম্বেদকর বিচারপতি বিনোদ দিবাকর বিনায়ক দামোদর সাভারকার বিপ্লবী গণেশ ঘোষ বিমান বসুর মন্তব্য বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বেগম রোকেয়া বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বেনিতো মুসোলিনি বেল হুকস ভগৎ সিং ভলতেয়ার ভি এস নইপল ভি এস নয়পল ভিক্টর হুগো ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ ভ্যালারি জিঙ্ক ভ্লাদিমির লেনিন মকবুল ফিদা হুসেন মনমোহন সিং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাত্মা গান্ধী মহাবীর মহাভারত মাও সে তুং মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি মাওলানা ভাসানী মাদার টেরেসা মাদ্রী কাকোটি মার্ক টোয়েন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্গারেটর থ্যাচার মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র মার্টিন স্করসেজি মালালা ইউসুফজাই মাহদী মোহাম্মদী মাহমুদ দারুউইশ মিলন কুন্দেরা মিশেল ফুকো মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ মে ওয়েস্ট মেরি শেলি মোহন ভাগবত মোহাম্মদ আলী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ম্যালকম এক্স যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত যদুনাথ সরকার যুধিষ্ঠির যোগেশচন্দ্র বাগল রঘুরাম রাজন রঞ্জন চক্রবর্তী রঞ্জিত সেন রণজিৎ গুহ রবার্ট ফ্রস্ট রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাজীব গান্ধী রামকিংকর বেজ রামকৃষ্ণ পরমহংস রিচার্ড ডকিন্স রুপসা রায় রুপি কাউর রেভারেন্ড অ্যান্ডু ফুলার রোজা পার্কস রোমিলা থাপার লর্ড এলগিন লি হুইটনাম লিও তলস্তয় লিওঁ ট্রটস্কি লুডভিগ উইটগেনস্টাইন লুপিতা নিইয়ং’ও লেনার্ড বার্নস্টাইন লেমনি স্নিকেট শংকরাচার্য শতাব্দী দাস শময়িতা চক্রবর্তী শমীক লাহিড়ী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় শিবরাম চক্রবর্তী শিবাজী শিমন পেরেস শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় শুভময় মিত্র শুভেন্দু অধিকারী শেখ মুজিবুর রহমান শেন ওয়ার্ন শ্রী সারদা দেবী শ্রীকৃষ্ণ শ্রীমদ্ভাগবত গীতা শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তি সক্রেটিস সত্যজিৎ রায় সমরেশ বসু সম্রাট আকবর সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণন সান ইয়াত সেন সালমান রুশদি সিগমুন্ড ফ্রয়েড সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় সিমোন দ্য বোভোয়া সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সেবাস্তিয়ান লেলিয়ো সেরেনা উইলিয়ামস সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় সৌরভ গাঙ্গুলী স্টিফেন কিং স্টিফেন হকিং স্ট্যানলি কুব্রিক স্ট্রিট গ্যাং স্বামী বিবেকানন্দ স্যাম অল্টম্যান স্যার উইলিয়াম জোন্স স্লাভোজ জিজেক হওয়ার্ড জিন হজরত আলী হজরত মুহাম্মদ হযরত মুহাম্মদ হাইপেশিয়া হাফেজ ই সিরাজী হায়ায়ো মিয়াজাকি হিটলার হিপোক্রেটিস হিমাংশী নারওয়াল হেনরি ফোর্ড হেরাক্লিটাস হেরাস হেলমুট নিউটন হেলেন কেলার হোরেস হোসে সরামাগো
আরও দেখান

আরও দেখুন : 👉 গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্মরণীয় উক্তি

অবতার অবৈতনিক শিক্ষা অভাবি মানুষ অভিবাসী অমুসলিমদের অধিকার অরাজনৈতিক লেখক অর্থ বা টাকা অর্থনীতি অর্থনৈতিক সংস্কার অর্ধসত্য অলসতা অসততা অসত্য অসহিষ্ণুতা অসাম্য অহিংসা আইন আইনজীবী আত্ম সমীক্ষা আত্মরক্ষা আদর্শ সমাজ আধুনিক বিজ্ঞান আধ্যাত্বিক জীবন আমলাতন্ত্র আমলাদের ভূমিকা আমেরিকান ড্রিম আমেরিকার আরব ইসরাইল যুদ্ধ ইংরেজ ঐতিহাসিক ইংরেজ শাসন ইউক্রেন ইউনিয়ন ইউপিএ সরকার ইচ্ছা ইতিহাস ইনকাম ট্যাক্স ইসরাইল ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ ইসরাইলি গণহত্যা ইসলাম ইসলাম ধর্ম ঈশ্বর ঈশ্বর-দর্শন উকিল উদারনীতি উদারপন্থী উদ্দেশ্য উদ্বাস্তু উন্নতি উন্নয়ন উপকথা উপনিষদ উৎপাদন উৎসব একনায়কতন্ত্র ওয়াকফ আইন ওয়াল স্ট্রিট ওষুধ ঔদ্ধত্য ঔপনিবেশিকতা কবি ও কবিতা কবিতা কমিউনিজম কর্ম কলকাতা কল্পনা কাজ কাপুরুষতা কার্য-কারণ সম্পর্ক কাশ্মীরের নিরাপত্তা কুম্ভ মেলা কুসংস্কার কূটনীতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৃষি ব্যবস্থা কৃষি ব্যবস্থার সমস্যা কৃষিকাজ কৃষির সঙ্গে সংস্কৃতির সম্পর্ক কোরআন ক্যান্সার ক্যারিশমা ক্রিয়াবাদের মূলনীতি ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি ক্ষমতা ক্ষমাশীলতা ক্ষুদ্রতা ক্ষুধা খরা ও বন্যা খোলা বাজার অর্থনীতি গণতন্ত্র গণনা গণহত্যা গবেষণা গো ভক্তি গো-হত্যা ঘৃণা বিদ্বেষ চাওয়া চাকরি চিকিৎসা চিন চিনা প্রবাদ চিন্তা চেতনা ছাত্র যুব জঙ্গল জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব জনবহুল শহর জন্তু জমির অধিকার জলবায়ু জাতপাত জাতিবিদ্বেষ জাতীয় আয় জাতীয় সুরক্ষা এজেন্সি জাতীয়তাবাদ জাতীয় পতাকা জায়নবাদ জিজিয়া কর জীবন জীবিকা জৈন ধর্ম জ্ঞান জ্ঞান চর্চা জ্ঞানী জ্ঞানী ব্যক্তি ঝুঁকি ডাক্তার ডাক্তারের দায়িত্ব ডেমোক্রেটিক পার্টি তিক্ততা তীর্থ দয়া দারিদ্র দাসত্ব দায়িত্ব দুঃখ দুঃখী মানুষ দুঃখের কারণ দুর্নীতি দূষণ দেখা দেশ দেশ ও ধর্ম দেশদ্রোহী দেশপ্রেম দ্বিজাতিতত্ত্ব ধনতন্ত্র ধনী ও ক্ষমতাধর ধরিত্রী ধর্ম ধর্ম ও উদারতা ধর্ম ও রাজনীতি ধর্মগুরু ধর্মগ্রন্থ ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মরাষ্ট্র ধর্মান্তরকরণ ধর্মীয় নিপীড়ন ধর্ষণ ধার্মিক ধৈর্যশীলতা নজরদারি ব্যবস্থা নতুন চিন্তা নতুন প্রজন্ম নদী নাগরিকত্ব নামকরণ নারী নারী অধিকার নারী আন্দোলন নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন নারী স্বাধীনতা নারীবাদ নারীবিদ্বেষ নারীর সাফল্য নাস্তিকতা নিন্দা নিয়ম নির্বাচন নির্বাচন কমিশন নির্বোধ নীরবতা নেতৃত্ব নৈরাজ্য ন্যায়বিচার ন্যায় পথ চলার নীতি পরমাণু যুদ্ধ পরিবর্তন পরিবার ভেঙে যাওয়া পরিবেশ দূষণ পরিশ্রম পরিসংখ্যান পলিটিক্যল কারেক্টনেস পশ্চিম এশিয়ার সংঘাত পহেলগাও পাগল পাপ পাসওয়ার্ড পুঁজি পুঁজিপতি পুঁজিবাদ পুথিপাঠ পুরুষ পুরুষ মানুষ পুরোহিত পুলওয়ামা সন্ত্রাসবাদী হামলা পূজা পৃথিবী পৃথিবীর সৃষ্টি পৌরাণিক কাহিনি প্যালেস্টাইন প্রকৃতি প্রতিকৃতি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি প্রতিজ্ঞা প্রতিবাদ প্রতিভা প্রয়াণ দিবস প্রযুক্তি প্রস্তুতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রিয় হবার কারণ প্রেম ফ্যাসিজম ফ্যাসিবাদ বক্তা বজ্রপাত বড় বিষয় বন্ধু বাঁশি বাঁশির সুর বাংলা ভাষা বাংলা ভাষা আন্দোলন বাংলা সাহিত্য বাংলাদেশ বাকস্বাধীনতা বাঙালি বার্ধক্য বিচার বিভাগের ক্ষমতা বিচার বিভাগের ভুল বিচারব্যবস্থা বিজয় বিজেপি সরকার বিজ্ঞান বিজ্ঞান চেতনা বিদ্যা বিদ্রোহ বিপর্যয় বিপ্লব বিবাহ বিশৃঙ্খলা বিশ্বযুদ্ধ বিশ্বাস বিশ্বের মূল সমস্যা বুড়ো হাওয়া বুদ্ধি বুদ্ধিমত্তা বুদ্ধিমান মানুষ বৃহৎ শহর বেহেস্ত বৈবাহিক ধর্ষণ বৈষম্য বোঝাপড়া বৌদ্ধধর্ম ব্যক্তি জীবন ব্যক্তি স্বার্থ ব্যবসা ব্রাহ্মণ ব্রিটিশ শিল্প ব্যবস্থা ভক্তি ও ভক্তিভাজন ভগবান ভয় ভর্তুকি ভারত ভারতবর্ষ ভারতীয় জনগণ ভারতীয় সংবিধান ভারতীয় সেনাবাহিনী ভারতের অর্থনীতি ভারতের ধর্ম ভালো থাকা ভালো নাগরিক ভালোবাসা ভাষা ভাষার বিলুপ্তি ভোট ভ্রাতৃত্ববোধ মত প্রকাশের স্বাধীনতা মন মনুষ্যত্ব মনের ব্যথা মন্দির মন্দির-মসজিদ বিতর্ক মহাকুম্ভ মহান আত্মা মহাবিশ্ব মহাভারত মহামারী মা মাতৃভাষা মানব পাচার মানব সভ্যতা মানবধিকার মানবসম্পদ মানুষ মানুষ হত্যা মারাঠা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিউজিসিয়ান মিডিয়া মিথ্যা মুক্তির উপায় মুঘল সম্রাট মুসলমান মুসলিম বিজয় মৃত্যু মেধাবী মেয়েদের ক্ষমতা মোবাইল ফোন যুক্তি যুক্তিবাদী মানুষ যুদ্ধ রণকৌশল রাগ রাজধর্ম রাজনীতি রাজনীতিবিদ রাজনৈতিক ক্ষমতা রাষ্ট্র রাষ্ট্রপতি রোগ নিরাময় লক্ষ্য লাল ফিতা লেখক শঙ্কা শান্তি শান্তি পর্ব শাস্তি শিক্ষক শিক্ষকতা শিক্ষা শিক্ষাল্পতা শিক্ষিত বাঙালি শিক্ষিত মানুষ শিখ গণহত্যা শিখ-বিরোধী দাঙ্গা শিল্পের ভাষা শিল্পের স্বাধীনতা শিশু শিশুশ্রম শুদ্ধ ও সঠিক চিন্তা শূদ্র জাতি শোষক শোষণ শ্রম শ্রমিক শ্রেণি শ্রীলঙ্কা সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যালঘু সংগীত সংবিধান সংবিধানের বেসিক স্ট্রাকচার সংবেদনশীলতা সংস্কার সংস্কৃত ভাষা সংস্কৃতি সততা ও শিক্ষা সতর্কতা সত্য সন্ত্রাসবাদ সন্দেহ সন্ন্যাসী সবুজ উদ্ভিদ সমাজ সমাজ বিষয়ক সমাজচ্যুত দল সমাজতন্ত্র সমৃদ্ধি সম্পদ সম্মান সম্মেলন সরকার সহিষ্ণুতা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সাধারণতন্ত্র সাফল্য সামাজিক স্বাধীনতা সাম্প্রদায়িকতা সাম্যবাদ সাম্রাজ্যবাদ সাহস সাহিত্যিক সিদ্ধান্ত সিনেমা বানানো সুখ সুন্দরতম জিনিস সুপ্রিম কোর্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সুশাসন সৃষ্টিকর্তা সোনা সৌন্দর্য স্কুল বোর্ড স্ট্রিট গ্যাং স্ত্রীকে লেখা পত্র স্থায়িত্ব স্পিন বোলিং স্বপ্ন স্বর্গ স্বাধীনতা স্বাধীনতা সম্পর্কিত স্বামী স্বাস্থ্য স্বাস্থ্যব্যবস্থা স্লোগান হালকা হওয়া হাসি হিংসা হিন্দু হিন্দু ধর্ম হিন্দু মহাসভা হিন্দু মুসলমান সম্পর্ক হিন্দু মেলা হিন্দু রাষ্ট্র হিন্দু শাস্ত্র হিন্দু সমাজ হিন্দুত্ব হিন্দুদের সুরক্ষা হিন্দুর ভগবান হিন্দুশাস্ত্রে বিজ্ঞান
আরও দেখান

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ