ইসলাম ও মুসলমান সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আশ্চর্য হলাম গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের সেই সময়ের কিছু উক্তি দেখে :
Rabindranath Tagore on Islam and Muslims
সবাই আমরা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের ভক্ত। তিনি ইসলাম ও মুসলমান সম্পর্কে কী বলেছেন সেটা জানা দরকার। যারা ইসলামকে শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম, সব ধর্ম সমান বলে চিল্লান তাদের থেকে নিশ্চয়ই রবীন্দ্রনাথ জ্ঞানী ছিলেন। দেখা যাক তাঁর উক্তি সমূহ-[ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কি সত্যিই এই উক্তিগুলো করেছেন? যদি করেন, তবে কোথায় ও কখন, কোন প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেছেন ? এই উক্তিগুলোর মধ্যে দিয়ে যা বোঝানো হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই তা বোঝাতে চেয়েছেন? আসুন সত্যটা জানার চেষ্টা করি। ]
১) যে মুসলমানকে আজ ওরা প্রশ্রয় দিচ্ছে সেই মুসলমানেরাই একদিন মুষল ধরবে।
(অমিয় চক্রবর্ত্তীকে লেখা চিঠি, ১৫.১১.১৯৩৪, চিঠিপত্র :১১)
১) যে মুসলমানকে আজ ওরা প্রশ্রয় দিচ্ছে সেই মুসলমানেরাই একদিন মুষল ধরবে।
(অমিয় চক্রবর্ত্তীকে লেখা চিঠি, ১৫.১১.১৯৩৪, চিঠিপত্র :১১)
মূল লেখাটি পড়তে এবং প্রকৃত তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন
২ ) যদি মুসলমান সমাজ মারে আর আমরা পড়ে পড়ে মার খাই, তবে জানব, এ সম্ভব করেছে শুধু আমাদের দুর্বলতা।
(রবীন্দ্র রচনাবলী, জ.শ.স,১৩ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩১৭,কালান্তর)
মূল লেখাটি পড়তে এবং প্রকৃত তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন
৩ ) কোনো বিশেষ প্রয়োজন না থাকলেও হিন্দু নিজেকেই মারে, আর প্রয়োজন থাকলেও হিন্দু অন্যকে মারতে পারে না। আর মুসলমান কোনো বিশেষ প্রয়োজন না ঘটলেও নিজেকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করে, আর প্রয়োজন হলে অন্যকে বেদম মার দিতে পারে।
(রবীন্দ্র রচনাবলী, জ.শ.স, ১৩ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩১৭,কালান্তর)
মূল লেখাটি পড়তে এবং প্রকৃত তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন
৪ ) এই ধর্ম যেখানে গেছে সেখানেই আপনার বিরুদ্ধধর্মকে আঘাত করে ভূমিস্যাৎ করে তবে ক্ষান্ত হয়েছে। ভারতবর্ষের উপরেও এই প্রচণ্ড আঘাত এসে পড়েছিল এবং বহু শতাব্দী ধরে এই আঘাত নিরন্তর কাজ করেছে।
(রবীন্দ্র রচনাবলী, জ.শ.স, ১২ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪০৮,শান্তিনিকেতন)
মূল লেখাটি পড়তে এবং প্রকৃত তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন
৫ ) হিন্দু মুসলমানের মধ্যে যে একটা পার্থক্য আছে তাহা ফাঁকি দিয়া উড়াইয়া দিবার জো নাই।
(রবীন্দ্র রচনাবলী, জ.শ.স, ১৩ খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৮২, পরিচয়)
মূল লেখাটি পড়তে এবং প্রকৃত তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন
৬ ) ইতিহাসে দেখা যায়, নিরুৎসুক হিন্দুগণ মরিতে কুণ্ঠিত হয় নাই। মুসলমানেরা যুদ্ধ করিয়াছে, আর হিন্দুরা দলে দলে আত্মহত্যা করিয়াছে।
(ঐ, পৃষ্ঠা ৪৮৫,ইতিহাস)
মূল লেখাটি পড়তে এবং প্রকৃত তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন
৭ ) প্রতিদিন নিম্নশ্রেণীর হিন্দুরা মুসলমান এবং খৃস্টান হতে চলেছে। কিন্তু ভাটপাড়ার চৈতন্য নেই। একদা ঐ তর্করত্নদের প্রপৌত্রীমণ্ডলীকে মুসলমান যখন জোর করে কলেমা পড়াবে তখন পরিতাপ করার সময় থাকবে না।
(হেমন্তীবালা দেবীকে লেখা চিঠি, ১৬.১০.১৯৩৩, চিঠিপত্র-৯)
মূল চিঠিটি পড়তে এবং প্রকৃত তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন
যেখানে রবীন্দ্রনাথের মতো কবি মুসলিমের সম্পর্কে সজাগ ছিলেন সেখানে বর্তমান খারাপ পরিস্থিতিতে থেকেও কীভাবে হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই এসব উচ্চারণ করি? অবাক হই, হতবাক হই।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন